• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

৬ মাসের কারাদণ্ড পাওয়া ড. ইউনূসের জামিন

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত January 1, 2024
৬ মাসের কারাদণ্ড পাওয়া ড. ইউনূসের জামিন

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুটি ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। এই জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ১৫ দিন কারাভোগ করতে হবে।

আজ সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার ৫ মিনিটের মধ্যেই আপিলের শর্তে তাদের এক মাসের জামিন দেন আদালত।

এ মামলায় অন্য তিন আসামি গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকেও একই সাজা দিয়েছেন আদালত।

 

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। এসময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এর আগে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ড. ইউনূসসহ চার আসামি আদালতে হাজির হন। পরে দুপুর সোয়া ২টার দিকে ৮৪ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

আদালতে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া রায় শুনতে আদালতে উপস্থিত হন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, তার স্ত্রী একটিভিস্ট রেহনুমা আহমেদ, রাজনীতি-বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

ড. ইউনূসের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শ্রম আদালত ও আশপাশে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

গত ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখেন তারা। এরপর থেকে মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।