• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাদুকাটা নদীতে মোতালিবের নেতৃত্বে অবৈধ পাথর সিন্ডিকেট

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত January 28, 2024
রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাদুকাটা নদীতে মোতালিবের নেতৃত্বে অবৈধ পাথর সিন্ডিকেট

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটায় লাউরেগড় পাথর সমিতির নামে সমিতির সভাপতি লাউরেরগড় ছড়ারপাড় গ্রামের মেহের আলীর ছেলে আব্দুল মোতালিব ওরফে মোতালির নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ভারত ও সীমান্ত নদী যাদুকাটা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন রাতের আধারে ট্রাক, লড়ি ও ছোট পিকাপ ভ্যান দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার বোল্ডার, ভুতু ও নুরী পাথর জেলা শহর সুনামগঞ্জসহ দেশের নানা প্রান্তে বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন ধরে মোতালিব এসব অবৈধ পাথরের ব্যবসা করে আসলেও অদৃশ্য কারণে মোতালিব রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তেই।
এদিকে মোতালিবের অবৈধ পাথর ব্যবসার কারণে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে। অপরদিকে অবৈধ পাথর ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে মোতালিব।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারচর গ্রামের বালু ব্যবসায়ী আকি নুর বলেন, লাউরেরগড় পাথর সমিতির নাম দিয়ে মোতালিব ও তার লোকজন স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতি সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে। শুধু তাই নয় ভারত থেকে এবং যাদুকাটা নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করে এসব পাথর সড়ক পথে জেলা শহর সুনামগঞ্জসহ দেশের নানা প্রান্তে বিক্রি করে আসছে।

তাহিরপুর উপজেলার মাহারাম গ্রামের বালু-পাথর ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, আগে নদীতে পাথরের ব্যবসা চালুছিল গত কয়েক বছর ধরে নদীতে ইজারাদাররা পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে। তার পরেও গত দুই বছর ধরে লাউরেরগড়ের মোতালিব নদীতে পাথর উত্তোলনের শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে অদৃশ্য ক্ষমতার বলে।

জানতে চাইলে যাদুকাটা বালু মহাল-১ এর ইজারাদার মেসার্স সোহাগ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী রতন মিয়া বলেন, আমরা নদী থেকে কাউকে কোনো ধরণের পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেইনি। এমনকি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন না করার জন্য একাধিকবার নিষেধ করেছি। তারা আমাদের নিষেধ না মেনে নির্বিঘ্নে পাথর উত্তোলন করে আসছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আব্দুল মোতালিবের মোবাইল ফোনে কল করা হলে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার তিনি বলেন, আমি একা এখানে ব্যবসা করিনা। লাউড়েরগড়ের কমপক্ষে ৩০জন ব্যবসায়ী এখানে পাথরের ব্যবসা করে। তাছাড়া এখানে পাথর ব্যবসার সাথে শতশত মেহনতি মানুষ জড়িত রয়েছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ চাঁদা আদায় করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনির সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।