• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

আহত যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ১

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত August 4, 2023
আহত যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ১

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার:
বড়লেখায় মোবাইল সার্ভিসিংয়ের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মারামারির ঘটনায় আহত যুবক সুজন আহমদের (২২) মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের পরিচালক শাহেদ আহমদের বৃদ্ধ বাবা মো. আব্দুল আজিজকে (৬২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ৩ আগস্ট বিকেলে বড়লেখা থানার এসআই স্বপন কুমার দাস অভিযান চালিয়ে তাকে (আব্দুল আজিজ) তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট দুপুরে বড়লেখা বাজারের খাদিজা ম্যানশনে শাহেদ আহমদের মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার খাদিজা টেলিকমে এক যুবক তার নষ্ট হওয়া মোবাইল ফোন সেট ঠিক করেত আসেন। মোবাইল ফোনসেট ঠিক হওয়ার পর ওই যুবক সার্ভিসিং চার্জ না দিয়ে চলে যেতে চান। এনিয়ে শাহেদ আহমদ ও ওই যুবকের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরপর ওই যুবক চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে ওই যুবক আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের ভাতিজা সুজন আহমদসহ কয়েকজন যুবক নিয়ে আসে। তারা এসে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই শাহেদ আহমদের দোকানে ভাঙচুর চালায় ও লুটপাট করে। এসময় বাধা দিতে গেলে আশপাশের ব্যবসায়ী ও শাহেদ আহমদের সাথে মারামারি হয় সুজন ও তার দলবলের। এক পর্যায়ে সুজন আহমদ মার্কেটের দোতালা থেকে নিচে (মাটিতে) পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরদিন ২ আগস্ট দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত সুজনের চাচা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ রাতে মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের পরিচালক শাহেদ আহমদকে ১ নম্বর আসামি ও তার বাবা মো. আব্দুল আজিজকে ২ নম্বর আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার পরদিন ৩ আগস্ট বিকেলে বড়লেখা থানার এসআই স্বপন কুমার দাস অভিযান চালিয়ে তাকে (আব্দুল আজিজ) তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়লেখা থানার এসআই স্বপন কুমার দাস বলেন, সুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের পরিচালক শাহেদ আহমদের বাবা মো. আব্দুল আজিজ ও শাহেদ আহমদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শাহেদ আহমদ পলাতক আছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। শীঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। আর গ্রেপ্তার আজিজকে ৪ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।