• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

সুনামগঞ্জে বালু উত্তোলন: ‘শর্ষের মধ্যেই ভূত’

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত October 20, 2024
সুনামগঞ্জে বালু উত্তোলন: ‘শর্ষের মধ্যেই ভূত’

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি🖊

দীর্ঘদিন ধরেই সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে একটি শক্তিশালী বালুখেকো সিন্ডিকেট দিন ও রাতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করে চলেছে। তা ঠেকাতে প্রশাসন নানা উপায় অবলম্বন করলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন। সবশেষ নদীর প্রবেশ মুখেই দেয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া।
জানা যায়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী বালু উত্তোলন বন্ধে প্রায়ই অভিযান চালায়। বড় বড় নৌকাও জব্দ করে যথারীতি মামলাও করেন। কিন্ত আইনের ফাঁক দিয়ে নৌকা ছাড়িয়ে পুনরায় একই কায়দায় করা হয় বালু-পাথর উত্তোলন।
এ নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাসহ নানা ফোরামে কথা ওঠে, এমনকি পরিবেশ বাদী সংগঠনের পক্ষ থেকেও সভা সমাবেশ হয়। কিন্তু কাজের কাজ হয় না কিছুই।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া চলতি নদীর (ধোপাজান) মোহনা থেকে অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন ও পরিবহণ প্রতিরোধের জন্য সুরমা নদীর মোহনা থেকে অর্থাৎ চলতি নদীর প্রবেশ মুখ থেকে উত্তর সীমান্ত খাসিয়া পাহাড় পর্যন্ত অংশে সব ধরনের বাল্কহেড নৌকাসহ বালু পরিবহনে ব্যবহৃত জলযান প্রবেশ নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করেন। কিন্ত এই আদেশ মানেনি কেউ। আবার ও সেই একই ভাবে চলে বালু-পাথর উত্তোলন।

তা ঠেকাতে সবশেষ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল রহমান, তহশিলদার ছিদদিকুর রহমান পুলিশ, ডিবিসহ দিনভর সুরমা নদীর মোহনা থেকে চলতি নদীর প্রবেশ মুখে বাঁশের বেড়া দেন। যাতে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু-পাথর কেউ নিয়ে যেতে না পারে।
তবে কাজ হয়নি তাতেও। প্রশাসনের কর্মকর্তারা চলে আসার পরই নৌকা ঢুকতে শুরু করে নদীতে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই, নানা পন্থা অবলম্বন করছি কিন্ত সুফল পাচ্ছিনা, আমি দেখছি কি করা যায়।

এলাকাবাসী বলছেন, এখানে একটি চেকপোস্ট রয়েছে তারপর এসব থামছে না, নিশ্চয়ই শর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে।