• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

গোলাগপঞ্জের উত্তর রনকেলিতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় দু’নারী সহ যুবক আহত

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত April 9, 2024
গোলাগপঞ্জের উত্তর রনকেলিতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় দু’নারী সহ যুবক আহত

 

গোলাগপঞ্জ উপজেলার উত্তর রনকেলি গ্রামে শিশু নির্যাতন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি মারপিটে দু’নারী, এক যুবক সহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল দিবগত রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে স্থানীয় নুর উদ্দিনের ছেলে আলভী (১২) সহ ৩ শিশু গ্রামের মসজিদে তারাবিহ নামাজ পড়ে যায়। নামাজ শুরু হলে বিবাদী পক্ষের ওমর (১৫) নামক এক কিশোর আলভীকে নামাজ থেকে ডেকে নিয়ে ওমর এর নেতৃত্বে ৪/৫ জন কিশোর আলভীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে।
এ ঘটনার খবর আলভীর মা-চাচী জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আলভীকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। এদিন আলভীর বাড়িতে কোন পুরুষ লোক ছিলেন না।
প্রতিপক্ষরা পুনরায় ১০/১২ জন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে পর পর ৪ দফায় কিশোর আলভীর বাড়িতে বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আলভীর চাচী আফসানা বেগম (৩৫), মা জনি বেগম (৩২) ও মামা তামীম (১৯)-কে লোহার রড ও কাঠের লাঠি দিয়ে বেপরোয়া আঘাতে আফসানা বেগমের ডান হাতের ৩টি আগুল ভেঙ্গে যায়। তিনির শরীরের বিভিন্ন অংশ ও মাথায় গুরুতর জখম হয়। জনি বেগমের বাম হাত সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর কাটা ছেড়া জখম এবং তামীমর মাথা লাঠির আঘাতে ফেটে যায়।
অন্যদিকে কিশোর গ্যাংগ ওমরের পক্ষ সন্ত্রাসী হামলা চালাতে গিয়ে তাদের কমপক্ষে ৩ জন লোক আহত হওয়ার খবর জানা গেছে।
আহত জনি বেগম বলেন, আমার সন্তানকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করে বাড়ি নেয়ার পর রাতের আধারে সন্ত্রাসীরা পুরুষ শূন্য বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা অমানুষিক ভাবে দুই নারী ও শিশুর উপর নির্যাতন চালিয়ে আহত করে। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে চাইলে অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসীরা বাঁধা দেয়। তখন আহতরা গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মখলিছ মিয়া ঘটনাস্থলে পৌছে আক্রমণকারীদের নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের চিকিৎসার জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। আহতরা হাসপাতালে যাওয়ার পর হামলাকারীরা আহতদের বসতবাড়ির বাগানে সৃজিত বিভিন্ন ফল ফসলের গাছ কেটে ফেলেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকার ওপরে।
গত ৬ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ওসমানী হাসপাতালে গুরুতর জখমকৃত দু’নারী আফসানা বেগম, জনি বেগম ও কিশোর তামীম চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে আফসানা বেগমের ডান হাতের ৩টি আঙ্গুল পুরোপুরি ভেঙ্গে যায়। ৩টি আঙ্গুলে অপারেশন করেন চিকিৎসকগণ। তাদের দু’নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশে অসংখ্যবার নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়।
৮ এপ্রিল সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরার পথে আহতরা গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মখলিছের কাছে ঘটনাটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আহতদের পক্ষ থেকে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করেন এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানের ব্যবস্থা করেন।