সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ইয়াকুবিয়া দাখিল মাদ্রাসায়(মীরেরচর) একপেশী মনগড়া এবং বিতর্কিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে এই বিতর্কিত পকেট কমিটি বাতিল চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এই অভিযোগটি দায়ের করেন একই ইউনিয়নের মঙ্গলকাটার স্থায়ী বাসিন্দা ও ইয়াকুবিয়া দাখিল মাদ্রাসার আজীবন দাতা সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষাবোর্ডের নীতিমালা উপেক্ষা করে এবং শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা ও তফশীল গোপন রেখে মাদ্রাসার সুপার জমির উদ্দিন মাসুক তার পছন্দের আজ্ঞাবহ লোকদের এই পকেট কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করে গত ৪ জানুয়ারী একজনকে সভাপতি করে ১০ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি ঘোষনা করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী কোন সরকারী কিংবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি ঘোষনার আগে মাইকিং করে এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে এবং স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে প্রতিষ্ঠানে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা কেবলই ভোট দেয়ার বিধান থাকলে ও প্রার্থী হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। অথচ এই পকেট কমিটিতে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের অর্ন্তভূক্ত করে কমিটি ঘোষনা করা হয় যা শিক্ষা নীতিমালা পরিপন্থি বলে উল্লেখ করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের সুপার একজন সুচতুর ব্যক্তি এবং তার ব্যক্তি স্বার্থ চরিত্রার্ত করতেই নীতিমালা লংঘন করে তার পছন্দের মানুষ যাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে যাকে দাতা সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে তিনি আদো দাতা সদস্য না । অবিলম্বে এই পকেট কমিটি বাতিল করে নির্বাচনী তফশীল অনুযায়ী পূনরায় নির্বাচনের দাবী জানানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান,এই প্রতিষ্ঠানে তিনি আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে থাকলে ও সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া এই ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সর্ম্পকে তার জানা নেই। তিনি এক তরফা এবং নিয়ম বর্হিভূত এই কমিটি বাতিলের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে ইয়াকুবিয়া দাখিল মাদ্রাসার জমির উদ্দিন মাসুকের বিরুদ্ধে শিক্ষা নীতিমালা উপেক্ষা করে তড়িগড়ি করে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন নীতিমালা অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী মান্নানের সাথে একাধিকার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।