• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

বিয়ানীবাজারে কলেজ ছাত্রীকে উঠিয়ে নেয়ার হুমকী আওয়ামী লীগ নেতার

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত July 11, 2021
বিয়ানীবাজারে কলেজ ছাত্রীকে উঠিয়ে নেয়ার হুমকী আওয়ামী লীগ নেতার

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজারে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে উঠিয়ে নেয়ার হুমকী দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমদ। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ছায়রা বেগম নামক ঐ শিক্ষার্থী কলেজে আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। হুমকীর শিকার ছায়রা বেগম বিয়ানীবাজার উপজেলার পূর্ব মুড়িয়া এলাকার আষ্টঘরী গ্রামের মৃত মো: আকদ্দছ আলীর কন্যা, তিনি বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উপজেলার ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের পুত্র কাওছার আহমদ দীর্ঘদিন থেকে কলেজ শিক্ষার্থী ছায়রা বেগম কে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছেন। কলেজে আসা যাওয়ার পথে রাস্তা ঘাটে ও কলেজ ক্যাম্পাসে তাকে নানা ভাবে প্রেম নিবেদন করে আসছেন। ছায়রা বেগম সে প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখান করে তাকে বিরক্ত না করার জন্য বিনয়ের সাথে অনুরোধ করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমদ ঐ কলেজ শিক্ষার্থী অনুরোধ উপেক্ষা করে তাকে যেখানে পাচ্ছেন সেখানেই প্রতিনিয়ত নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছেন। কাওছার আহমদের নির্দেশে তার অনুসারী কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীও ছায়রা বেগম কে এ বিষয়ে উত্যক্ত করছে। কাওছার আহমদ সম্প্রতি ছায়রা বেগম কে হুমকী দিয়েছেন তার প্রস্তাবে রাজি না হলে অপহরণ করে উঠিয়ে নিবেন বলে। আওয়ামী লীগ নেতার এই প্রচ্ছন্ন হুমকীতে কলেজে আসা যাওয়া অনিরাপদ বোধ করছেন ছায়রা বেগম ও তার পরিবার। ফলে এ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছে ঐ শিক্ষার্থী। এতেকরে তার শিক্ষা জীবন এখন হুমকীর সম্মুখীন।
এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষার্থী ছায়রা বেগম বলেন, কাওছার আহমদ দীর্ঘ প্রায় ১ বছর থেকে আমাকে নানা ভাবে উত্যক্ত করে আসছেন। কলেজে আসা যাওয়ার পথে এমনকি কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকেও তিনি আমাকে প্রেম নিবেদন করছেন, তার সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলছেন। আমি বিনয়ের সাথে তার সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আমাকে বিরক্ত না করার জন্য বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি আমার সে অনুরোধ উপো করে দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি কাওছার আহমদ আমাকে হুমকী দিয়ে বলেছেন, যেখানে পাবেন আমাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা, কেউ তার কিছু করতে পারবে না বলে। এ অবস্থায় আমার জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমার পরিবার আমার কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কাওছারের কারণে আমার কলেজে পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেল।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।