• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

বাল্যবিবাহ নিরোধল্পে অভিভাবক সহ সর্বমহলকে সচেতন হতে হবে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিত সিংহ

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত June 6, 2024
বাল্যবিবাহ নিরোধল্পে অভিভাবক সহ সর্বমহলকে সচেতন হতে হবে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিত সিংহ

✒অনলাইন ডেস্ক

 

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

বাল্যবিবাহ নিরোধল্পে অভিভাবক সহ
সর্বমহলকে সচেতন হতে হবে

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিত সিংহ বলেছেন, সরকারি আইন অনুযায়ী ছেলেরা ২১ বছরের আগে এবং মেয়েরা ১৮ বছরের আগে প্রাপ্ত বয়স্ক হয় না। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধল্পে অভিভাবক সহ সর্বমহলকে সচেতন হলে বাল্যবিবাহ মুক্ত দেশ গড়া সম্ভব। তিনি বলেন, ২১/১৮ বয়সের আগে ছেলে মেয়েরা বেশি ভুল করে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাদেরকে গাইড দিতে হবে। তাদের হাতে মোবাইল ফোন থাকা ঠিক নয়। তারা লেখাপড়ার প্রয়োজনে পিতা-মাতার মোবাইল ব্যবহার করবে। এতে তারা বিপদগামী হবে না। তাদেরকে দেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট নাগরিক না হলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া যাবে না।
তিনি গতকাল ৫ জুন বুধবার দুপুরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উদ্যোগে ‘‘আগে শক্ষিা, পরে বিয়ে, ১৮/২১ পাড়ি দিয়ে,”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুরস্থ সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমীতে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে স্কুল পর্যায়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমীর প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মকব্বির আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন। সমাবেশে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী ও এনজিও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শামছন্নাহার বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ও বিধিমালা ২০১৮ এর উপর স্লাইড পেজেন্টেশন করেন। পরে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে কিভাবে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে তার উপর নির্মিত ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাল্যবিবাহ না করার জন্য এবং কোথাও হতে দেখলে তা বন্ধ করার জন্য উপস্থিত সকলকে শপথবাক্য পাঠ করান।
সভাপতির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। সিলেট বিভাগকে ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করা হলেও এখনও মাঝে মাঝে দু’-একটি ঘটনার আয়োজন করা হয় যা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাগণ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে বন্ধ করে। এব্যাপারে সকলকে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জনমত গড়ে তুলতে হবে। বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে বুঝাতে পারলে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব।
প্রধান অতিথি সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিত সিংহ আরো বলেন, সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য দেশব্যাপী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রচারণা করায় সমাজে সচেতনা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বাল্য বিয়ের মত কোন ঘটনা প্রতিহত করতে ১০৯, ১০৯৮, ৯৯৯ এর মত হেল্প লাইনের সহযোগিতা নেয়ার আহবান জানান।