• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

ভিক্ষুক ও হিজড়াদেরন চাঁদাবাজিতে সিলেট মহানগরবাসী অতিষ্ঠ

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত February 10, 2024
ভিক্ষুক ও হিজড়াদেরন চাঁদাবাজিতে সিলেট মহানগরবাসী অতিষ্ঠ

বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) ও বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবধরনের দাবি উপস্থাপনের বলিষ্ঠ সংগঠন সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (সিপ্রকস) এর যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকায় সিকস’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার সিলেট মহানগরীর ভিক্ষুক ও হিজড়াদের অনাকাংখিত ও জোরপূর্বক চাঁদাবাজির বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদানের লক্ষে প্রস্তুতি সভা, প্রস্তাবিত ৪টি কমিটির পরিচিতি ও ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দের ৫ম সাপ্তাহিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ভিক্ষুক ও হিজড়াদেরন চাঁদাবাজিতে সিলেট মহানগরবাসী অতিষ্ঠ। সিলেট মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে ভিক্ষুক ও হিজড়াদের উৎপাত মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েই চলছে। সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজার, বৃহত্তর জিন্দাবাজার, জল্লারপার, চৌহ্রাটা, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, কাজলশাহ, শিবগঞ্জ, হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গন, হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার প্রাঙ্গন, মেজরটিলা, বৃহত্তর উপশহর, ভার্থখলা, কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, রেলষ্টেশন সহ বিভিন্ন জায়গায় ভিক্ষুকদের দৌরাত্ম পর্যটক, প্রবাসী ও নগরে বসবাসরত নাগরিকদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। অনেক সময় ভিক্ষুকরা পথচারীদের শরীরে হাত দিয়ে জোর করে টাকার দেয়ার জন্য বাধ্য করে। পাশাপাশি হিজড়ারা নগরীর প্রায় পয়েন্টে দলবেঁধে বরযাত্রার গাড়ি, বিদেশ যাত্রীদের গাড়ি সহ যেকোনো অনুষ্ঠানের সাজানো গাড়ি আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত জোরজবরদস্তী করে। চাঁদার নির্দিষ্ট পরিমান টাকা না পেলে বা গাড়ির যাত্রীদের মধ্য থেকে  কেউ কোনরূপ কথা বলতে গেলেই তারা বিবস্ত্র হয়ে যায়। যা গাড়িতে থাকা পুরুষ ও নারীদের অসম্ভব লজ্জা ফেলে দেয়। বাধ্য হয়ে তাদের চাহিদার টাকা দিতে হয়। ভিক্ষুক ও হিজড়াদের বাসাবাড়িতে উৎপাততো রয়েই গেছে। এরমধ্যে হিজড়াদের অনাকাঙ্খিত আচরণ ও উশৃঙ্খলতার মাত্রা সীমানার বাহিরে পৌছে গেছে।  যেকোন অনুষ্ঠানের খবর পেলেই হলো, দলবেঁধে হিজড়ারা পৌঁছে যায় সেই বাসায়। সেখানে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি হইচই শুরু করে বড় অংকের চাঁদার টাকা দাবি করে। চাঁদার টাকার পাশাপাশি মারাত্বক উশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করে। মানসম্মান বাঁচাতে বাধ্য হয়ে অনেকেই তাদের হাতে তুলে দেন চাঁদার টাকা। বক্তারা আরো বলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ভিক্ষুক ও হিজড়াদের শনাক্ত করে পূর্ণবাসন সহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি। বক্তারা মহানগরীর ভিক্ষুক ও হিজড়াদের জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অবস্থা থেকে নগরবাসী ও নগরে আসা অতিথিদের রক্ষা করতে সিলেট সিটি কর্পোরশেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ করার জোর দাবি জানান।

জাতীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমানের পরিচালনায় সভায় বিভিন্ন মতামত উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নাজমুল হুসাইন, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফুজায়েল আহমদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়া, সদস্য মোঃ ইয়াকুব, সিলেট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুব ইকবাল মুন্না, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আল গালিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুহেল আহমদ, সিলেট মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, প্রচার সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু ও  সহযোদ্ধা উজ্জল মিয়া।

সভা থেকে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার সিলেট মহানগরীর ভিক্ষুক ও হিজড়াদের অনাকাংখিত ও জোরপূর্বক চাঁদাবাজির বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের লক্ষে বেলা ১১.১৫ ঘটিকায় কোর্ট পয়েন্টে ওভার ব্রিজের নিচে সবাইকে উপস্থিত থাকার আহবান জানানো হয়। বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।