নিজের পোস্টারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করা নিয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কারণ দর্শানের (শোকজ) নোটিশের জবাব দিয়েছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। তিনি এ ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের কাছে ব্যারিস্টার সুমন তার ব্যক্তিগত সহকারী রুহেল মিয়ার মাধ্যমে লিখিত জবাবটি পাঠান।
ব্যারিস্টার সুমন দাবি করেন, তার জনপ্রিয়তা, সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা ইর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংযুক্ত করে যে লিফলেট এবং পোস্টার বিলি করা হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। তিনি যে নির্দিষ্ট ছাপাখানা থেকে পোস্টার ছাপিয়ে থাকেন সেগুলো নির্দিষ্ট সেই ছাপাখানার না।
লিখিত জবাবে সুমন উল্লেখ করেন, তবে আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অনেকে পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট তাদের নিজ উদ্যোগে ছাপিয়ে বিলি করছেন।
এর আগে আব্দুল হাই প্রিন্স নামে এক ব্যক্তি নিজেকে নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থক দাবি করে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির বরাবর ব্যারিস্টার সুমনের নামে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ৭ মোতাবেক প্রার্থীর ব্যানার ও পোস্টারে নিজের ছবি, প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী হলে একই সঙ্গে দলের প্রধানের ছবি থাকতে পারবে। এর বাইরে আর কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ব্যারিস্টার সুমন পোস্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করে বিধি লঙ্ঘন করেছেন।
গতকাল সোমবার (১ জানুয়ারি) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি আলোচিত এই প্রার্থীকে শোকজ করলে পরদিনই তিনি এর জবাব দিলেন।
নানা কর্মকাণ্ডের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত সায়েদুল হক চৌধুরী সুমন এবার হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকেই দল নৌকার মাঝি হিসেবে বেছে নেয়। পরে ব্যারিস্টার সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তার প্রতীক ঈগল। এই আসনে নৌকার সঙ্গে ঈগলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।