• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

উসকানিদাতা কবি, সাংবাদিকরাও বিচারের আওতায় আসবেন: নাহিদ

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত September 19, 2024
উসকানিদাতা কবি, সাংবাদিকরাও বিচারের আওতায় আসবেন: নাহিদ

সোনালী ডেস্ক🖊

ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যারা গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও জুড়ি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, মামলাগুলো সরকার করছে না, জনগণের জায়গা থেকে করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি যে এই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করা হবে। অভিযোগ না থাকলে মামলা থেকে রেহাই দেয়া হবে।

তবে কেবল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিক ও কবি পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বৈধতা উৎপাদনে কাজ করেছেন লেখনি ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করেছেন, গণহত্যার পক্ষে কাজ করেছেন, উসকানি দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।

সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের গুজব সেল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে ফ্যাক্টচেকিং বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি।

একটি ফ্যাক্টচেকিং সেল করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সামাজিকমাধ্যমে যাতে এই ধরনের গুজবের সত্যতা যাচাই করে মানুষের কাছে সত্য তুলে ধরা যায়, মানুষ যাতে গুজব ও মিথ্যায় প্রভাবিত না হয়, সে জন্য আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে ভাবছি।

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুড়ি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই সিনেমা জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপদকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছিলাম।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০২৩ সালে যেহেতু একটি আইনের গেজেট হয়ে গেছে, সেটি পর্যালোচনা করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সেন্সর যে শব্দটি সেটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যে ২০২৩ সালের আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন সেই আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডটাকে পুনর্গঠন করব।