• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদ হারালেন “৪৫ জনপ্রতিনিধি

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত August 21, 2024
সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদ হারালেন “৪৫ জনপ্রতিনিধি

সিলেট প্রতিনিধি🖊

সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, চার পৌরসভার মেয়র, ১৩ উপজেলার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৪৫ জনপ্রতিনিধি তাদের পদ হারিয়েছেন।

তাদের স্থলে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকারের আদেশ জারি হওয়ার প্রথমদিনই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নিয়োগ পাওয়া স্ব স্ব প্রশাসকরা।

স্থানীয় সরকারের এক পৃথক আদেশে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামানকে অপনারণ করে প্রশাসকের দায়িত্বে দেয়া হয়েছে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসিকে।

একইভাবে অপসারণ করা হয়েছে সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে। জেলা পরিষদ সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।

জেলার বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকুল হককে সরিয়ে প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেনকে,

গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদ হারিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল। এ পৌরসভায় প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন স্থানীয় সরকার সিলেট’র উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার।

অপসারণ করা হয়েছে কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমানকে। এ পৌরসভায় প্রশাসক দেয়া হয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন কাদেরকে।

আর জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ অপনারণের পর প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অর্নব দত্ত।

এছাড়া সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়েছে। এসব উপজেলায় প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে।

এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সুজাত আলী রফিককে অপসারণের পর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরীন আক্তারকে।

বিশ্বনাথ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সোহেল আহমদ চৌধুরী কে সরানোর পর দায়িত্ব পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার,

ওসমানীনগর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. শামীম আহমদকে অপসারণের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন।

এছাড়া বালাগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনহার মিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম ।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশফাকুল ইসলাম সাব্বির, গোয়াইনঘাট উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান বহিস্কৃত সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শাহআলম স্বপন,

জৈন্তাপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন,

কানাইঘাট উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম ।

বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লবকে অপসারণের পর স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উপজেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার ও (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকেই এসব জনপ্রতিনিধিদের কে তাদের পথ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।