• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

ছাত্র সমন্বয়ক ও “ছাত্র আন্দোলনকারী” সার্জিসদের কে ভুলবে না কখনো বাংলাদেশ

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত August 10, 2024
ছাত্র সমন্বয়ক ও “ছাত্র আন্দোলনকারী” সার্জিসদের কে ভুলবে না কখনো বাংলাদেশ

সোনালী ডেস্ক🖊

সারজিস আলম একজন মেধাবী ছাত্র ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে পড়াশুনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন। তাছাড়া তিনি নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতার্কিক হিসাবে অংশ গ্রহণ করে সুনাম অর্জন করেছেন । জন্মস্থান বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা । লেখা পড়া করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বি এ এফ শাহীন কলেজ ঢাকা ।

ডিবি প্রধান হারুন ৬ ছাত্র সমন্বয়কদের কে সুরক্ষার কথা বলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ৬ দিন পর। ডিবি হেফাজত থেকে মুক্ত হয়ে নিজের ফেইছ বুক আইডিতে লিখা আন্দোলনকারীদের যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন । এবং সরকার কে করা ভাষায় যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সেটাই ছিলো সার্জিসের কোটা আন্দোলনের সফলতা ।

কথা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের থেকে কাউকে গ্রেফতার করবেন না, মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন না। আপনারা কথা রাখেননি।

আপনারা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর আঘাত করেছেন। সারাদেশে আমার স্কুল কলেজের ভাইবোনদের উপর লাঠিচার্জ করেছেন। যাকে ইচ্ছা তাকে জেলে পাঠিয়েছেন। আন্দোলনকারীকে খুঁজে না পেলে বাসা থেকে ভাইকে তুলে নিয়েছেন, বাবা’কে হুমকি দিয়েছেন। মাশরুর তার উদাহরণ।

যারা একটিবারের জন্যও এই আন্দোলনে এসেছে তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারেনা গ্রেফতারের ভয়ে থাকে। এমন অনেকে আছে যাদের পরিবার এখনো তাদের খোঁজ পায়নি। এমন তো হওয়া উচিৎ ছিল না।

কোথায় মহাখালীর সেতু ভবন আর কোথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ আপনারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে মহাখালীর সেতুভবনে হামলার জন্য গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেন। সাথে আছে আসিফ মাহতাব স্যার, মাশরুর সহ আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী অসংখ্য শিক্ষার্থী।

রিক্সা থেকে নামিয়ে প্রিজন ভ্যানে তুলছেন বাসা থেকে তুলে নিয়ে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমার বোনদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছেন। কি ভাবছেন? এভাবেই সবকিছু শেষ হয়ে যাবে?

৬ দিনের ডিবি হেফাজত দিয়ে ৬ জনকে আটকে রাখা যায় কিন্তু এই বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে কিভাবে আটকে রাখবেন? ন? ? দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার করে। যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন প্রতিনিয়ত সেগুলো কিভাবে নিবৃত করবেন?

পুলিশ ভাইদের উদ্দেশ্যে একটা বলি। এ দেশের মানুষের ক্ষোভ আপনাদের উপর নয় পুলিশের উপর নয়। এই ক্ষোভ আপনার গায়ের ওই পোশাকটার উপর। যে পোশাকটাকে ইউজ করে বছরের পর বছর আপনাদের দিয়ে এ দেশের অসংখ্য মানুষকে দমন-পীড়ন করা হয়েছে, অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে জেল আর আদালতের প্রাঙ্গনে চক্কর কাটানো হয়েছে সেই পোশাকটার উপর। ওই পোশাকটা ছেড়ে আসুন আমাদের সাথে, বুকে টেনে নিব।

এ পথ যেহেতু সত্যের পথ ন্যায়ের পথ, তাই যেকোনো কিছু মোকাবেলা করতে আমরা বিন্দুমাত্র বিচলিত নই। যতদিন না এ বাংলাদেশ আন্দোলনকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে। গণগ্রেফতার, জুলুম, নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে: ততদিন এ লড়াই চলবে।

দেশ এখন মুক্ত তাই সকলে মিলে শিক্ষার্থীদের পাশে এসে তাদের ন্যায্যদাবী আদায়ে সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষে এদেশের ছাত্র জনতা যে সাহস দেখিয়েছে সেটা ১৬ বৎসরে কেউ এই সাহস দেখাতে পারেনি। তাই নীতি ও আদর্শের রাজনীতির পথ সুগম হউক। দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে সাধারণ জনগনের একাত্মতাই এদেশে অপরাজনীতি পরিহার করা সম্ভব ।