অনলাইন ডেস্ক 🖊
ঢাকা, ০১ আগস্ট – দুর্যোগসহ যেকোনো অস্বাভাবিক সময়ে সারাদেশে ইন্টারনেট ছাড়াই বিকল্প উপায়ে ব্যাংকসেবা সার্বক্ষণিক সচল রাখতে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ জন্য প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকিং সেবার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে। এটা পৃথক লাইন বা ইন্টারনেট ছাড়া কেব্ল লাইন দিয়ে হতে পারে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রায় এক ডজন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) এক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে সরকারি খাতের সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা, দি সিটি, ইস্টার্ণ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ব্র্যাক, ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ও ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে যেকোনো পরিস্থিতিতে এমডিদের মনোবল চাঙা রাখার পরামর্শ দেন গভর্নর। পাশাপাশি সাম্প্রতিক অস্থিরতায় ব্যাংক খাতের ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতদের বিষয়ে খবর নেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিভিন্ন ব্যাংকের এমডিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাম্প্রতিক অস্থিরতায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চারজন মারা গেছেন। তবে ব্যাংক খাতে সম্পদের বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এক-দুটি এটিএম ও শাখা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৈঠকে তারা গভর্নরকে জানান, গত ১৮-২৩ জুলাই ইন্টারনেট ব্যবস্থা ব্যাংক বন্ধ থাকলেও এটিএম সেবা চালু ছিল। তবে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা ব্যাহত হয়েছে। এ জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরামর্শে বিকল্প নিয়ে ভাবতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি বিভাগকে উদ্যোগী হতে পরামর্শ দেন তারা।
বৈঠক শেষে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে আমাদের বিকল্প নিয়েও চিন্তা করতে হবে। আমরা উন্নত দেশ হওয়ার আগেই ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস লাইন থাকা প্রয়োজন। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর ব্যাংক একই লাইনে চলবে, এটা তো হওয়ার কথা নয়। আমাদের এমন লাইন করা দরকার যেন ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেলেও ব্যাংকের কার্যক্রম চলে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের জন্য আলাদা ব্রডব্র্যান্ড লাইনের মতো লাইন গড়ে তোলার দরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, প্রবাসী আয় বাড়বে-কমবে। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এবার ব্যবসায় তেমন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এরপরও এটাকে কেন্দ্র করে অনেকে সুযোগ-সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল