সিলেট শহর কে বৃষ্টি ও বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে দুই মেয়র একসাথে কাজ শুরু করেছেন ।
সিলেট সিhh টি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ।
গতকাল সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ঘাসিটুলায় বন্যা পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন দল মতের উর্দ্বে উঠে এসে সিলেটের উন্নয়নে এক হয়ে কাজ করি । সেই কথার মিল দেখা গেলো আজকে ।
তিনি নতুন মেয়র ও সিসিকের কর্মকর্তাদের কে নিয়ে নগর পরিদর্শন করতে দেখা গেছে ।
হেঁটে হেঁটে কথার চলে কথা বলছেন সাবেক মেয়র , নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান কে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন আর বলেছেন ৫৬ ইং ম্যাপ অনুযায়ী সিটির কার্লভাট ও ছড়া
প্রায় বেদখল হয়ে গিয়েছে ।
বিশেষ করে ছড়া গুলি কে যদি অবমুক্ত করা না যায় তাহলে পতি বছর এভাবে স্থায়ী ৩ থেকে ৪ ঘন্টা বৃষ্টি হলে পুরো সিলেট শহর পানির নিচে তলিয়ে যাবে ।
সিলেট শহরের ভেতর দিয়ে যে কয়টি ছড়া প্রবাহিত হতো। শহরের উত্তর দিকের টিলা এলাকা থেকে এগুলোর উৎপত্তি হয়। এসব ছড়া দিয়ে শহরের পানি সুরমা নদীতে গড়িয়ে পড়তো ।
কিন্তু বর্তমানে অনেক ছড়া বেদখল বা ভরাট হয়ে গেছে। কয়েকটি ছড়া সিটি কর্পোরেশন উদ্ধার করলেও আগের অবস্থায় ফেরানো যায়নি। বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকটি ছড়া টিকে রয়েছে ।
সিলেট নগরীতে অসংখ্য খাল ছিলো বিভিন্ন ছড়ার সাথে খালগুলোর সংযোগ ছিল। কিন্তু এখন শহরে একটি খালও নেই। সব ক’টি খাল বক্স ও কালভার্ট বানিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন। সিসিকের প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার যারা এই দায়িত্বে রয়েছেন তাদের সাথে পরামর্শ করে যে বা যাহারা এই ছড়া গুলিকে দখল করে রেখেছেন ।
তাদের কে বুজিয়ে বলুন আপনারা কয়েকজনের সুবিধার কারণে গোটা শহর আজ পানির নিচে তলয়ে যাচ্ছে।তাই অনতি বিলম্ভে এটুকু জায়গা ছেড়ে দিন ।
নতুবা জরুরী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে । সাবেক মেয়র নতুন মেয়র কে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন
আপনি বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছের মানুষ । বিগত ১৫ বৎসর যে কাজ সিলেটে হয়নি সে কাজ আপনি চাইলে দ্রুত করা সম্ভব ।
তাই এই মুহূর্তে আপনি জরুরী উদ্যোগ প্রয়োজন ,
মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেছেন ৫৬ রেকর্ড অনুযায়ী যদি কেউ অবৈধ ভাবে সিসিকের কাল ও ছড়া বেদখল করে রাখেন ।
তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সিলেট নগরীর মানুষ কে বৃষ্টি ও বন্যার পানি থেকে বাঁচাতে যে কোন সিদ্বান্ত নিতে পারি ।
সাবেক মেয়র নতুন মেয়রের কথা শুনে খুশি হয়েছেন এবং বলেছেন সিলেটের মানুষ কে এই দুর্গতি থেকে রক্ষা করতে যতা সম্ভব এক হয়ে কাজ করে যাবো ।
নগরীর সবকটি নালা নর্দমা প্লাস্টিক ব্যাগে ভর্তি হয়ে রয়েছে। সুরমা নদী খনন করা হলেও নদীর তলদেশে প্লাস্টিকের প্রচুর ব্যাগ পাওয়া যাবে, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
সিলেট নগরীর কে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে ইদানীং প্রায় সুরমা নদী খনন করার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু শহরের ভেতরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে শুধু নদী খনন করে কী লাভ হবে ।
তাই এখনি সময় ছড়া ও ড্রেইন গুলি কে আগের রূপে ফিরিয়ে নিয়ে আসলে কিছুটা হলে ও মুক্তি পাবেন নগরীর পানি বন্দি নগরবাসীরা ।