✒অনলাইন ডেস্ক
কোরবানির ঈদে মাংস দিয়ে ভাত খেতে কার না ইচ্ছে হয় কিন্তু পশু কোরবানি দেয়ার সাধ্য তো নেই সবার। এক টুকরো মাংস পেতে বাড়ি বাড়ি ঘুরেন অনেকেই। কখনো জুটে আবার কখনো বা না। তবে কিছু মাংসের আশায় দিনভর ছুটে চলেন তারা। তবুও যদি পরিবারের সবাইকে নিয়ে মুখে তোলা যায় এক টুকরো মাংস।
এ তালিকায় বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ ছাড়াও শিশুদেরও দেখা যায়। তাদের কথা মাথায় রাখেইবা কজন।ঈদুল আজহার দিনে সোমবার (১৭ জুন) দুপুরের পর কোরবানির মাংসের জন্য সিলেট শহরের বিত্তশালীদের বাড়ির গেটের সামনে ভিড় করতে দেখা যায় অনেককে।
তারা শুধু এক টুকরো মাংস চায়, তাড়িয়ে দিলেও বারবার হাত বাড়ায়। এতো গেলো এক শ্রেণীর মানুষের কথা অন্য দিখে দেখা মিললো নগরীর সুরমা মার্কেটে পয়েন্টে মাংসের বাজার। সেখানে দেখা মিললো মদরিছ আলী নামের এক বেক্তির সাথে কথা হলো ।
তিনি বেগ ভর্তি মাংস বিক্রি করতে আসছেন এই পয়েন্টে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান কেজি ৫এক মাংস সারাদিন গুড়ে সংগ্রহ করেছেন কিন্তু দাম হচ্ছে ২৩০০ শত টাকা তিনি বিক্রি করবেন ২৫০০শত টাকা।
মাংস বিক্রির এই টাকা দিয়ে চাউল ডাইল কিনে বাসায় ফিরে যাবেন । কোরবানির মাংস ছেলে মেয়েদের খাওয়ানো সম্বভ নয় ঘরে পেঁয়াজ নেই তৈল নেই মাংস রান্না করবে কি দিয়ে ।
সে জন্য মাংস বিক্রির টাকা দিয়ে অত্যন্ত দু বেলার খাবার তো জুটবে, তাই ভালো ক্রেতা পাচ্ছিনা এখানে অনেক বিক্রেতা রয়েছেন সে জন্য দাম কম। রাত হয়েছে মানুষের ভিড় যা পাই বিক্রি করে দিয়ে বাসায় চলে যাবো ।
বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এই বাজারে রয়েছেন ভিডিও কেমেরা দেখে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা। লুকিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে এই অন্ধকারে একটি ছবি সংগ্রহ ।
নগরীর কিনব্রিজের দক্ষিণ পাশে চাঁদনীঘাট ও সুরমা মার্কেট পয়েন্টে বিগত কয়েক বছর যাবৎ দেখা যাচ্ছে এই রাতের মাংসের হাট ।
অনেক ফ্যামেলি ও ভাড়াটিয়ারা শহরে বসবাস করছেন কিন্তু কেউ কেউ লজ্জায় কারো কাছে মুখ খুলে বলতে পারছেন না সাধারণ মানুষের ধারণা । তাই কিছু মানুষ কোরবানির মাংস না পেয়ে এই রাতের হাটে চলে আসে মাংস কিনতে ।