মালয়শিয়ায় কর্মী প্রেরণ করতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ সংকট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ দুপুরে সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন ও মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।এসময় তিনি আরও বলেন, মালেশিয়ায় প্রায় ৫ লক্ষের উপরে কর্মী প্রেরণের জন্য মালয়শিয়া সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরনে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠনের সাথে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংগঠন সেই তালিকা দিতে পারেনি। ফলে ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে। পরবর্তীতে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২ টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান আরও বলেন, এ সমস্যা সমাধানে এম্বেসি ও মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এ সংকট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তা অনুসন্ধান করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে আলিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। পরে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ৫ আসনের সাংসদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান ও মাদ্রাসার বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।