আটকৃত ব্যাটারী চালিত রিক্সা ফেরত প্রদানে দাবীতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সিলেট মহানগর ব্যাটারী চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক ভাবে অনুরূপ স্মারকলিপি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান করেন।
গতকাল ০১ এপ্রিল সোমনার দুপুরে সিলেট মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক এর নেতৃত্বে নগর ভবনে উপস্থিত হয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন। পরে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার বরাবরেও স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনাই, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সোবহান, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মালিক, প্রচার সম্পাদক আনিছুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির, সদস্য মোবারক আলী, আলম মিয়া, শুকুর আলী, আবুল কাশেম, আইয়ুব আলী, আককাস আলী প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, হযরত শাহজালাল সহ ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেট নগরীতে সিলেট মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিকরা অনেক দিন ধরে সরকারের কাছে বৈধভাবে নম্বর প্লেট দিয়ে রিক্সা চলাচলের জন্য দাবি করে আসছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক মালিক-শ্রমিকগণ বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ ও কিস্তিতে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ক্রয় করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। নগরীতে প্রায় ১৫/২০ হাজার মানুষের আয়ের উৎস ব্যাটারি চালিত রিক্সা। তাই দীর্ঘ দিন যাবৎ নগরীতে বৈধ ভাবে নাম্বার প্লেট দিয়ে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচলে দাবী জানিয়ে আসছেন শ্রমিক-মালিক নেতৃবৃন্দ। কিন্তু বৈধতা না দিয়ে রিক্সা আটক সহ সিলেট সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধ করে দিলে কয়েক হাজার শ্রমিক বেকর হয়ে যাবে। বেকার হওয়া শ্রমিকগণ বিভিন্ন অপরাধজনক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আজও রিক্সা চালকরা মানুষ হয়ে মানুষ টানছেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ হলেও রিক্সা চালকদের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।
ব্যাটারি চালিত রিক্সা বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় চলাচল করলেও সিলেট নগরীতে চলাচলে অনুমতি প্রদান করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসাবে রিক্সা শ্রমিকরা রিক্সায় ব্যাটারি লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুধুমাত্র রিক্সার শ্রমের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরিবারের ভরনপোষণের পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বয়বৃদ্ধ রিক্সা শ্রমিকগণও আয়-রোজগার করতে পারছেন। ব্যাটারী চালিত রিক্সা চলাচলের অনুমতি দিলে স্বল্প আয়ের মানুষ উপকৃত হবে। সারা দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ব্যাটারী চালিত রিক্সার সাথে জড়িত। তাই মানবিক ও সর্বদিক বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষকে ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক বৈধভাবে চলাচলের অনুমোদন দেয়ার জন্য আহবান জানানো হয়।
এছাড়াও রেকার ফিস ৩ হাজার টাকা করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়। এটা রিক্সা শ্রমিকদের নির্যাতনের সামিল। তাই পুনরায় রেকার ফি ৫০০ টাকা করার জোর দাবী জানানো হয়।