সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, সরকার সর্বক্ষেত্রে সিন্ডিকেট তৈরি করে দেশের সাধারণ মানুষদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। আর তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ আজ দিশে হারা। তারা অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। এই শীতের মওসুমেও কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুরমুখী ১০০টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০টাকা, শশা ৭০ টাকা, মুরগীর উচ্ছিষ্ট পাখনা ও পা ১২০ টাকা আর এক হালি
মুরগীর ডিম ৮০ টাকায় কিনে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে শেষ সম্বল বিক্রি করতে বাধ্য হওয়া কোটি কোটি দরিদ্র মানুষ ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের আশংকায় কাতর ও ক্ষুব্ধ। সর্বোপরি নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির ফলে কোটি কোটি মানুষ আজ নিঃস্ব, ক্ষুধার্ত ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। সরকারই সিন্ডিকেট তৈরি করে দেশকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে। তাই দেশকে সংকটমুক্ত করতে হলে এই সরকারের বিদায় নিশ্চিত করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্টা করতে হবে।
শবিবার বাদ যোহর বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরুর পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এবং আপোষকামিতার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকেও হুমকীর মুখে ফেলেছে। অরক্ষিত সীমান্তে দেশের নাগরিকগণ একের পর এক খুন হচ্ছেন। অথচ নতজানু সরকার কার্যকর কোন প্রতিবাদ কিম্বা প্রতিরোধ করছে না। আর তাই, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দেশের সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, শ্রেণী-পেশার সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সচেতন জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও
অব্যাহত সাহসী লড়াই তীব্রভাবে গড়ে তুলতে হবে। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে অনির্বাচিত অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্টা করতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে মজলুম জনতার বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
কর্মসূচিতে সিলেট জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- একেএম তারেক কালাম, শহিদ আহমদ চেয়ারম্যান, সামিয়া বেগম চৌধুরী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, আনোয়ার হোসেন মানিক, আবুল কাশেম, শাকিল মোর্শেদ, ময়নুল হক, আব্দুল লতিফ খাঁন, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, আজিজুর রহমান, মাহবুব আলম, রফিকুল ইসলাম, কুমকুম ফাহিমা, শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আহমদ সোলায়মান, ইসমাইল হোসেন সেলিম, জাহেদ আহমদ, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, আব্দুল আহাদ, আব্দুল মালিক মল্লিক, শামিম আহমদ প্রমুখ।