• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

আব্দুল গফুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত February 13, 2024
আব্দুল গফুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ

সিলেট নগরীর আব্দুল গফুর ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) সকালে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

প্রতিষ্ঠানের গভার্নিংবডির সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সিলেট সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অভিজিৎ কুমার পাল ও দি এইডেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শমশের আলী, গভার্নিংবডির সদস্য মুজিব মালদার ও আব্দুল মুনিম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নতুন কারিকুলাম নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে গেলে নতুন কারিকুলামের সুফল ভোগ করবে। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন হলে এর সুফল দৃশ্যমান হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক সরকার এমনটা চায় না। বিভিন্ন দপ্তরের বিশেষজ্ঞ একটি টিমের সমন্বয়ে এ কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফলো করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামের আলোকে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আগামীর প্রজন্মকে গড়ে তুলা হবে।

তিনি বলেন, গত বছর ষষ্ট ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। এবছর ষষ্ট থেকে নবম পর্যিন্ত চালু করা হয়েছে। আগামী বছর দশম শ্রেণিতে। পর্যায়ক্রমে ২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হবে। প্রথম দিকে কিছু অসুবিধা মনে হতে হতে পারে। যেমন প্রথম জিপিএ-৫ চালু হওয়ার পর অনেকে অনেকের মধ্যে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এখন সেটি স্বাভাবিক ও ভালো একটি উদ্যোগ মনে করছেন সবাই। একইভাবে নতুন কারিকুলামের সুফল পাওয়া যাবে আরও কয়েক বছর পরে।

আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা পদ্ধতি নেই বললে ভুল হবে। এ কারিকুলামে প্রতিদিনই পরীক্ষা হচ্ছে। শুধু শব্দগত পরিবর্তন হয়েছে। পরীক্ষার বদলে অ্যাসেসমেন্ট শব্দ ব্যবহার হচ্ছে।

সিনিয়র শিক্ষক মো. জিয়াউর রহমান ও সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ রুহুল আমীনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গভার্নিংবডির সদস্য নাজিরুল ইসলাম নাজির, মহিলা সদস্য মোছা. শাফিয়া বেগম, প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য আব্দুস শহীদ তুমেলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে হাইস্কুল শাখায় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও কিন্ডারগার্টেন শাখায় রোকসান আরা বেগমের নাম ঘোষণা করা হয়।