• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত February 7, 2024
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্বে টঙ্গী ও আশাপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের গাড়ি পর্কিংয়ের জন্য ১৫ নং সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫ নং ব্রিজের ঢাল ও ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ ব্যবহার করতে হবে।

সিলেট ও খুলনা বিভাগের জন্য উত্তরাস্থ ১৫ নং সেক্টর লেকপাড় মাঠ ব্যবহার করতে হবে। রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের গাড়ির জন্য ১০নং ব্রিজ, ১১নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬নং সেক্টরের ভিতরে ও বউবাজার মাঠ ঠিক করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের গড়ি পার্কিং হবে ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশনে। আর ঢাকা মহানগরের সকল গাড়ি ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায় পার্কিং করতে হবে।
 

বিশ্ব ইজতেমার শেষদিন অর্থাৎ আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ট্রাফিক আইন মেনে ধউর ব্রিজ, ১৮ নং সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নং সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে (বিশ্বরোড নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট), কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২, মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পার্শ্ব ও মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিংয়ের রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এছাড়া আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা হতে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী, বিজয় সরণি ও গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।

তেমনিভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আগত যানবাহনসমূহ কামারপাড়া এবং আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়ীবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। ঢাকা থেকে বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে আগত যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে।

পাশাপাশি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা ও বিমানবন্দর দিয়ে নামা যাবে না। 

আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আগত যানবাহন কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (বিমানবন্দরগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ ব্যবহার করতে হবে। কোনভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। তবে উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন, বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

ঢাকা মহানগর থেকে যে সকল মুসল্লিগণ পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন তাদের তুরাগ নদীর উপরে নির্মিত বেইলী ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করতে হবে।

বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ হতে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা দেয়া হবে।