দিরাই-শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :-
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জেরকে কেন্দ করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শওকত আলী (৬৫) নামে একজন নিহতসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের ধলুয়া গ্রামের নিহত শওকত আলী ও তৈয়ব আলীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত শওকত আকবরসহ উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন ইলিয়াস মিয়া (২০), ফরহাদ (২২), তাজু মিয়া (৫০), সায়েক মিয়া (১৬), জয়মুন্নুর (৩৫), ফিরুজ আলী (৪০), মতিন মিয়া (৩০), সিদ্দিক আহমেদ (৭০), আলী হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান (২৪), আল আমীন (৩৩), ফয়েজ (৩০)। এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রামের তৈয়ব আলী, মনির উদ্দিন ও ওসমান গনির সাথে একই গ্রামের নিহত শওকত আকবর, ইউসুফ আলী ও আনোয়ার হোসেনের লোকজনের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলছে। বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৈয়ব আলীর লোকজন আওয়ামিলীগ মনোনীত প্রার্থী আল আমিন চৌধুরী ও নিহত শওকত আকবরের লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার পক্ষ নেয়। নির্বাচনের পরদিন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত শওকত আকবরের ছোট ভাই লিয়াকত হোসেন জানান, নির্বাচনে পরদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষই দিরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, কিন্তু অদৃশ্য কারণে নৌকা সমর্থকদের মামলা নেয়া হলেও আমাদেরটা নেয়া হয়নি। তাদের দায়ের করা মামলায় আজ আমারা আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম, এই সুযোগে তৈয়ব আলী লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়ীতে হামলা করে ঘরে ঢুকে আমার ভাইকে হত্যা করে। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে, এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে মারামারির ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আসমাী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।