১৯ জানুয়ারি’২৪ বিকেল ৪ঘটিকার সময় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির উদ্যেগে বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ ও শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবিতে ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে জেলা সভাপতি সুরুজ আলীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটু’র পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) সিলেট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল ফজল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: ছাদেক মিয়া, শাহপরান থানা কমিটির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন (ঝাড়)–, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির অর্থ সম্পাদক মো. নাছির মিয়া, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী, স’মিল শ্রমিক সংঘ সিলেট সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি হজর আলীসহ প্রমুখঃ
বক্তারা বলেন, বর্তমানে জনজীবন নানাবিধ সংকটে জর্জরিত। সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের নির্মম শোষণ-লুণ্ঠনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি মুদ্রাস্ফীতি-মূল্যস্ফীতি তথা সামগ্রিক সংকটে জনজীবন আজ বিপর্যস্থ। আবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের ক্ষমতা ও গদি নিয়ে কামড়াকামড়ির দ্বন্ধ। এই সমস্ত দালাল ও সুবিধাবাদী দলগুলো কখনো জনগনের কথা ভাবেনি, আর ভাববেও না এটাই স্বাভাবিক। তারা জনগনের জাতীয় ও জরুরী সমস্যাগুলোকে আড়াল করে ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়ার দ্বন্ধে লিপ্ত। সাম্রাজ্যবাদী মার্কিনের নেতৃত্বে পাশ্চ্যাত্যের সাথে প্রতিপক্ষ চীন-রাশিয়ার আধিপত্য প্রতিদ্বন্ধিতা ও তাদের স্বার্থ রক্ষায় উভয়পক্ষই বাংলাদেশকে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তাদের আগ্রাসী যুদ্ধে সম্পৃক্ত করতে মরীয়া। যার লক্ষ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ টিকফা, আকসা, কোয়াড, আইপিএস-সহ নানা প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে তৎপর।
বক্তারা আরোও বলেন, বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হচ্ছেনা শ্রমিকদের বেঁচে থাকার মতো নূন্যতম মজুরি। সরকারের পক্ষ থেকেও নিম্নতম মজুরি ঘোষনা করা হচ্ছে না। যার দরুন শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। বক্তারা অনতিবিলম্বে নিম্নতম মজুরি ঘোষনার দাবি জানান এবং বলেন, শ্রমিকরা যখন তার দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য মিছিল মিটিংয়ের পাশাপাশি অধিকার আদায়ের প্রধান হাতিয়ার ধর্মঘট নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক সেই সময় সরকার ও মালিকদের ষড়যন্ত্রে “অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন” নামে শ্রমিকদের ন্যায় সংগত আন্দোলনের প্রতি বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ আইনের মধ্য দিয়ে সরকার শ্রমিকদের কথা নূন্যতম চিন্তা না করে মালিকদের সুরক্ষার চেষ্ঠা চালাচ্ছেন। শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।