• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

সুনামগঞ্জ ২ দিরাই শাল্লা শংঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের মনে

Sonaly Sylhet
প্রকাশিত December 31, 2023
সুনামগঞ্জ ২ দিরাই শাল্লা শংঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের মনে

সোনালী সিলেট প্রতিবেদক ঃ

নির্বচন যতই ঘনিয়ে আসনে দিরাই-শাল্লায় ততই শংঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের মনে। এ আসনে কোন রাজনৈতিক দলের ভোট ব্যাংক নেই। এখানে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং নাছির উদ্দিন চৌধুরীর ভোট ব্যাংক রয়েছে। তবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ভোট ব্যাংক সাম্প্রদায়িক বলেও মনে করেনন অনেকেই। আসন্ন জাতীয় সংসদস নির্বাচনে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুই প্রার্থীর অভিযোগকে ও অনেকে দেখছেন সাম্প্রদায়িক ভাবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সুরঞ্জিত পত্নি বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জয়া সেন গুপ্তা দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন। অপর দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল-আমিন চৌধুরী দিরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনি রায় সহ ৪০ জন প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারকে নির্বাচনী দায়িত্ব না দেবার অনুরোধ জানাবেন ।

দিরাই-শাল্লা আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী। বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা দলীয় প্রতীক নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাঁচি প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। অপর দিকে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমীণ চৌধুরী। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের ভোটাররা দুইভাবে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। সবাই মনে করছি এবার বিজয়ের জন্য বিএনপির ভোটাররাই নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।

জানা যায়, সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের দিরাই উপজেলার এসিল্যান্ড জনি রায়সহ ৪০ জন প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারকে নির্বাচনী দায়িত্ব না দেবার অনুরোধ জানাবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল-আমিন চৌধুরী। আল-আমিন চৌধুরী জানান, তিনি আজ শনিবার রিটার্নি কর্মকর্তার নিকট এই আবেদন জানাবেন। আল-আমিন চৌধুরী বললেন, এসব কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই স্কুল-কলেজের শিক্ষক। তারা একজন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তাদেরকে ভোট কর্মীর দায়িত্ব দিলে পক্ষপাতিত্ব হতে পারে।

এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুরঞ্জিত পত্নি বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জয়া সেন গুপ্তাও দুই উপজেলা মিলে ১৫ জন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে ভোট কর্মীর দায়িত্ব না দেবার জন্য অনুরোধ জানাবেন। জয়া সেন বললেন, শাল্লায় ৫ জন এবং দিরাইয়ে ১০ জন ভোট কর্মকর্তা, যারা এক প্রার্থীর পক্ষে কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা ভোট গ্রহণ কাজে যুক্ত হলে পক্ষপাতিত্ব হতে পারে। জয়া সেন ইতোপূর্বে দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী’র ইতিপূর্বে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছেন। জয়া সেন এর সমর্থক শাল্লার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. অবনী মোহন দাস বললেন, পাঁচ জন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তার নাম ইতোমধ্যে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তারা।