সোনালী সিলেট ডেস্কঃ
নির্বাচনের ট্রেন অনেক দূর চলে গেছে, আটকানোর সুযোগ নেই। এখন এমনিতেই ট্রেন গন্তব্যে পৌছাবে। আপনারা গাইবান্ধার নির্বাচন ভুলে যাননি, প্রয়োজনে অনেক জায়গা গাইবান্ধা হবে। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতেই হবে। কোনো বিকল্প নাই।
রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান। এর আগে তিনি সুনামগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। মতবিনিময় সভায় জেলার পাঁটটি আসনের ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন উপস্থিত ছিলেন। কোন কোন প্রার্থী নিজে আসতে না পারায় প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন।
আমাদের সকল প্রস্তুতি শেষ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোথাও লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে ভোট বন্ধ হয়ে যাবে, ভোটের কার্যক্রম চলবে না। যখন সেখানে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে তখন নির্বাচন হবে। কেউ হেভিওয়েট কেউ লাইটওয়েট না। সকল প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান নিয়ে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, ভোট সুষ্ঠুভাবে করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব। এবার সবোর্চ্চ ১৩ দিন (২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি) পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে। এতো লম্বা সময় আগে কখনই সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে আমরা রাখিনি। এবার আমরা রেখেছি কারণ পরবর্তিতেও যাতে সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। সেজন্য সবোর্চ্চ শক্তি আমরা নিয়োগ করছি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায়।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আনিসুর বলেন, আইজিপির ভাই হিসেবে তিনি (সুনামগঞ্জ—২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ) কোন সুযোগ সুবিধা পাবেন না, পাচ্ছেনও না। ওখানে তিনি একজন প্রার্থী। প্রার্থীকে ভোটার আনতে হবে। সিলেট চট্টগ্রামে (আপনাদের ভাষায় হেভিওয়েট) অনেক প্রার্থী আমাদের বলেছেন, আমি জাল ভোটে এমপি হতে চাই না।
নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের চোখ জাতির দর্পণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের ৫ জনের ১০টা চোখ, কিন্তু আপনাদের অসংখ্য চোখ। এই চোখের মাধ্যমে আমরা দেখি। আপনারা যা পাঠান আমরা সবই বিবেচনায় নেই। আপনারা আমাদের সহায়তা করবেন। বিভিন্ন জায়গাতে অনিয়ম হলে জানাবেন, আমরা যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেবো। আমাদের ১০০ জন কর্মকর্তা লাগিয়ে রাখবো শুধু দেখার জন্য ভোটের দিন কোথায় কি ঘটছে। সেটা দেখে আমরা ব্যবস্থা নিব।
এসময় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিকী এনডিসি, সিলেটের ডিআইজি শাহ্ মিজান শাফিউর রহমান পিপিএম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, সুনামগঞ্জ বিজিবির অধিনায়ক মো. মাহবুবর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান প্রমুখ।