সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা :: সুনামগঞ্জে প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়েছে জেলার পাঁচটি আসনে। মোটরসাইকেল শোডাউন থেকে শুরু করে নির্বাচনী ব্যানার টাঙিয়ে সভা, প্রতীকের কথা উল্লেখ করে ভোট চাওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। এসব কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সরকারদলীয় চার প্রার্থী, জাতীয় পার্টির (জাপা) একজন ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তদের মধ্যে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানও রয়েছেন।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির পক্ষ থেকে যুগ্ম জেলা জজ রশিদ আহমেদ মিলন স্বাক্ষরিত শোকজের চিঠি বুধবার বিকেলে এম এ মান্নানকে দেওয়া হয়। চিঠিতে বলে হয়, সম্প্রতি জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসীতে, শনিবার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর বাজারে ও সোমবার আশারকান্দি ইউনিয়নের বড় ফেছি বাজারে ব্যানার টাঙিয়ে কর্মিসভায় অংশ নেন তিনি, যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। এই অবস্থায় কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাঠানো হবে না–আগামী ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে তার ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য এম এ মান্নানকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমি আইন মান্যকারী মানুষ ও আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। দলের কর্মিসভায় উপস্থিত হয়েছিলাম। সেখানকার উচ্ছ্বাস উপেক্ষা করা যায়নি। এটা ঠিকও হয়নি। অবশ্যই সবাইকে আইন মানতে হবে। আমি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যাখ্যা দেব।’
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রনজিত সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে। একই দিনে অভিযোগ আনা হয় সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাপার প্রার্থী বর্তমান এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর বিরুদ্ধে।