বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ : বিয়ানীবাজারের মুড়িয়ায় কাঙ্খিত পাত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ায় বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকী ধামকি দিয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাওছার আহমদ ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুড়িয়া এলাকার আষ্টঘরী গ্রামের মৃত মোঃ আকদ্দছ আলীর বাড়িতে গিয়ে এই হুমকী দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতেকরে ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা আতংকের মধ্যে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কানাঘুষা চলছে।
জানা যায়, মৃত আকদ্দছ আলীর কন্যা ছায়রা বেগম বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে পড়াশুনা করতেন। কলেজে আসা যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমদ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন ও নানা ভাবে উত্যক্ত করতেন। ছায়রা বেগম সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় এক পর্যায় তাকে অপহরণ করে উঠিয়ে নেয়ার হুমকী দেন আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমদ। আওয়ামী লীগ নেতার ঐ হুমকীর পর ছায়রা বেগম নিরাপত্তাহীনতায় কলেজে পড়াশুনা বন্ধ করে দেন। গত ২০ অক্টোবর অন্যত্র ছায়রা বেগমের বিবাহ দেওয়া হয়। এই খবর জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমদ তার অনুসারী স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীকে সাথে নিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ছায়রা বেগমের পিত্রালয়ে যান। কাওছার আহমদ তাদের বাড়িতে গিয়ে ছায়রা বেগম কে কেন অন্যত্র বিয়ে দেয়া হলো সেই কৈফত জানতে চান এবং তার মা ও পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালি করে প্রকাশ্যে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকী দেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে নিবৃত্ত করে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে আসেন। এ ঘটনার পর ছায়রা বেগমের মা ও পরিবারের সদস্যরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতার ভয়ে কোথাও অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।