আবুল হাসেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবা আদৌ সৌদি আরবে গেছেন, নাকি যাননি, তা জানি না। তিনি বেঁচে আছেন, নাকি মারা গেছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত প্রমাণ পাইনি। বাবা কোথায়, জানতে চাই।’
আবুল হাসেম জানান, তাঁর বাবা কৃষক। পাশাপাশি ব্যবসাও আছে। পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য বের হওয়ার পর থেকে তাঁর অবস্থানের বিষয়ে জানার চেষ্টা করে এজেন্সি বা মোয়াল্লেমের কাছ থেকে তাঁরা কোনো সহযোগিতা পাননি। পরে তাঁরা থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু মামলা নেওয়া হয়নি। শেষে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন।
আবুল হাসেমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওমরাহ শাখা থেকে শিমন ওভারসিজ এক্সপ্রেসের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মীর আহম্মদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, শিমন ওভারসিজ এক্সপ্রেসের মাধ্যমে আবদুল আজিজ ওমরাহ পালন করতে গিয়ে সৌদিতে হারিয়ে যান বলে অভিযোগ। এজেন্সির প্রতিনিধি ইয়াকুবের অবহেলায় তিনি হারিয়ে যান। তাঁকে খুঁজে বের করতে এজেন্সি বা তার প্রতিনিধি কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরবর্তী সময়ে সৌদি পুলিশের কাছ থেকে তাঁর মৃত্যুবিষয়ক প্রতিবেদন (ডেথ রিপোর্ট) পাওয়া যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি গত বছরের ১৬ মে সৌদিতে মারা যান। তাঁর দাফনে বিলম্ব হচ্ছিল। এ জন্য স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন তাঁর দাফনের অনুমতির বিষয়ে সৌদির জেদ্দায় বাংলাদেশ হজ অফিসকে অনুরোধ করে।