মোঃ রমজান আলী ঃ
পাঠানটুলায় দু পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় রানা আহমদ শিপলুর স্ত্রী বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালী থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন, সিলেট কোতোয়ালী থানায় যার নাম্বার ৬৩০(২)৫(২৭-০১-২০২৪) অভিযোগ সুত্রে জানাযায় গত ২৪ শে জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় শ্রাবণী আবাসিক এলাকায় স্কলার্সহোম স্কুল এন্ড কলেজের সামনে রানা আহমদ শিপলুকে সংঘবদ্ধ একদল সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমন করে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন শিপলুকে উদ্ধার করে
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে এবং দুই বার অপারেশনের পর পোষ্ট অপারেটিভ ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন, মামলার বাদিনী শিপলু আহমদের স্ত্রী তাহমিনা খানম এজহারে জানা যায় তার স্বামী জীবন মৃত্যুর দোয়ারে দাড়িয়ে আছেন ,তার চিকিৎসা চলছে, ডাক্তার গুরুতর অবস্থার কথা জানিয়েছেন ,এজহার সুত্রে আরো জানা যায় ,
তোফায়েল (৩৮) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: মদিনা মার্কেট, থানা: কোতোয়ালী, জেলা: সিলেট। দবির খাঁন (৪০) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: পাঠানটুলা, থানা: জালালাবাদ, জেলা: সিলেট, সুমন আহমদ (৩৩) পিতা: আব্দুল খালিক, সাং: বালুচর, থানা: শাহপরান, জেলা: সিলেট। কয়েছ আহমদ (৩৩) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: পনিটুলা, থানা: জালালাবাদ, জেলা: সিলেট। আবু হাসনাত (৩৪) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: জালালাবাদ, জেলা: সিলেট। বিদ্যুৎ দাস (৩৪) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: নয়াবাজার, থানা: জালালাবাদ, জেলা: সিলেট। সুহেল (৩৫) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: পনিটুলা, থানা: জালালাবাদ, জেলা: সিলেট। মোঃ আলী (৩৫) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: জাহাঙ্গীর নগর, থানা: এয়ারপোর্ট, জেলা: সিলেট। রশিদ আহমদ (৩৫) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: পনিটুলা, থানা: জালালাবাদ, জেলা: সিলেট। সাইদুল হক (৩৫) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: ফাজিলচিস্ত, থানা: এয়ারপোর্ট, জেলাঃ সিলেট। জামিল (৩৬) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: নেহারী পাড়া, থানা: কোতোয়ালী, জেলা: সিলেট। জাকির হোসেন (৩০) পিতা: মৃত লাল হোসেন, সাং: আল মদিনা আ/এ, থানা: কোতোয়ালী, জেলা: সিলেট। কাঠ জামাল (৩৫) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: আল মদিনা, থানা: কোথোয়ালী, জেলা: সিলেট। মিশু (৩৫) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: খাসদবির, থানা: এয়ারপোর্ট, জেলা: সিলেট। আসাদ আলী (৩৫) পিতা: অজ্ঞাত, সাং: বাদাম বাগিচা, থানা: এয়ারপোর্ট, জেলা: সিলেট নুর উদ্দিন (৩৪) পিতা: অজ্ঞাত সাং নেহাড়ি পাড়া সোনাই(৩৩) পিতা: শাহজান মিয়া সাং আল মদিনা :-আরো অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামী করা হয়েছে । উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন।
এই প্রতিবেদকে শিপলুর মা জানান তার সন্তানকে অন্যায় ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আহত করা হয়ছে ,আসামিদের অভিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক । মামলার বাদী তাহমিনা খানম বলেন আমার স্বামীকে অন্যায় ভাবে উল্লেখিত আসামীরা হত্যা করতে ছেয়েছিল কিন্ত স্থানীয়দের সাহসিকতায় তিনি প্রানে বেছে জান, আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি আশাকরি সঠিক বিচার পাব ।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিন জানান এখন পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় নি । আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ।