নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আতঙ্কে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা

প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০১৯

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আতঙ্কে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা

সোনালী সিলেট ডেস্ক ::: গত দুইদিনের ভারী বর্ষণে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।

তবে খোয়াই নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার এক মিটার (১০০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে কুশিয়ারা তীরের নিম্নাঞ্চলে বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতভর ও শুক্রবার সারাদিন ভারি বর্ষণ হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পানি কুশিয়ারা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া ওই নদীর পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি বাড়িঘরের বাসিন্দারা। এখনও প্রতিনিয়ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়, অনেক স্থানে নদীর তীর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছেন। তবে সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক, পারর্কুল, আলীপুর, করিমপুর, ইনাতগঞ্জ, কসবা, নতুন কসবা, কাতিয়া, ফেসি, আটগর, মাধবপুর, কারনিছড়, জলালপুর, সৈয়দপুর, ফাইলগাঁও, পুরান আলাকন্দিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

ছাড়া বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলি, সাওদেশ্বরী, ধীতপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর, বদলপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে।

এলাকাবাসীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোতে বালুর বস্তা ফেলে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করাচ্ছেন। এদিকে খোয়াই নদীর পানি এখনও বিপদসীমার এক মিটার (১০০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। খোয়াই নদীর পানি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাতে ভারতের আসাম-ত্রিপুরা রাজ্যে বৃষ্টি হলে খোয়াই নদীও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করার শঙ্কা করছেন তারা। তবে এখন পর্যন্ত মাধবপুরের সুনাই নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানেও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসান বলেন, সময় যত বাড়ছে পানি তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছি। জরুরি প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবেন পানিবন্দি লোকজন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহিদুল ইসলাম বলেন, কুশিয়ারা নদীর দুর্বল অংশগুলোতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা মেরামত কাজ করছেন। এছাড়া খোয়াই নদীতে পানি বাড়লে আশঙ্কার কিছু নেই। কারণ নদীর দুর্বল ও গত বছরের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের অংশগুলো মেরামত করা হয়েছে।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম