সিলেট ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক ::: ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। শেষ সময়ের এ কেনাকাটায় কাপড়ের পাশাপাশি জুতা, কসমেটিক্সের বাজারে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে অনেক রাত পর্যন্ত চলছে এ কেনাবেচা। ঈদ বাজারে বড়ে বড় মার্কেট ও বিপণী বিতানের পাশাপাশি কাপড় কিনতে গলির দোকানেও ভিড় করছেন ক্রেতারা। এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিপণী বিতানগুলিকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। বিপণী বিতান গুলোতে রাতে শোভা পাচ্ছে আলোক সজ্জা।
ঈদবাজার ঘুরে দেখা গেছে এ বছর বিপণী বিতানগুলিতে মেয়েদের কারারা ও টিস্যু কাপড়ের জামার চাহিদা বেশী। তবে বিগত বছর গুলির মতে এবার নেই ভারতীয় বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালের নাম করণের কাপড়ের চাহিদা। ভারতীয় কাতান, মায়েদের দেশীয় তাঁতের শাড়ির চাহিদা বেশী। দাম বড় নয় পছন্দের কাপড় কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন এক বিপণী বিতান থেকে অন্য বিপণী বিতানের দোকানগুলোতে।
শমশেরনগর বাজারের গড়ে উঠা হামিদ এন্ড কালাম ব্রাদার্স সিটি সেন্টার, আরপি টাওয়ার, এ আর কমপ্লেক্স, রয়েল প্লাজা, হোসেন প্লাজা, রহিম ম্যানশন, সালাম মার্কেট, আলী মার্কেট, সুবল ট্রেড সেন্টার, মদিনা মার্কেট, কে এম রহমান মার্কেট, সাদেক ভবন, সোনিয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টল, ফরিদা ফ্যাশন, রহমান প্লাজাসহ সবগুলো কাপড়ের দোকানে গত কয়েক দিন ধরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। পাশাপাশি কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজারে আল আমিন মার্কেট, আপ্তাব ম্যানশনের ক্রেতাদের ভিড়।
এসব মার্কেটে মেয়েদের চাহিদামত জামার দাম সর্বনিম্ন ২ হাজার ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। মায়েদের শাড়ি ১ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। মায়েদের চাহিদা দেশী তাঁতের শাড়ির। এর দাম সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
মেয়েদের কারু কাজ করা জামার দাম হচ্ছে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। ছেলেদের সাদা পাঞ্জাবি ও নানা ধরনের ছাপা পাঞ্জাবির প্রতি আকর্ষণ বেশী। এসব পাঞ্জাবি ১ হাজার টাকা থেকে ১৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শিশু থেকে তরুণ বয়সীদের পছন্দ জিন্সের প্যান্ট, শার্ট টি শার্ট ইত্যাদির। এসব বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। জেন্টস কালেকশনের বিভিন্ন নামের আলাদা দোকানগুলিতে শুধু মাত্র ছেলেদের পছন্দের শার্ট, টি শার্ট, জিন্স প্যান্ট, পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে।
হামিদ এন্ড কালাম ব্রাদার্স সিটি সেন্টার-এ কথা হয় ক্রেতা রাবেয়া বেগমের সাথে। তিনি জানান মেয়ের পছন্দে ১২০০ টাকা দিয়ে একটি জামা কিনেছেন। কাপড়ের দাম মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে বলেও তিনি জানান।
অন্যদিকে স্বল্প আয়ী মানুষজন, গ্রামের কৃষক পরিবার বাজারের গলির কাপড়ের দোকানে গিয়ে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের কাপড় কিনছেন। গলির দোকানের ক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, যে আয় করেন তা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে চলতে হয়। তাই কম দামে গলির দোকান থেকে কাপড় কিনে ছেলে মেয়েদের দিচ্ছেন।
রয়েল প্লাজার কাপড়ের মার্কেটে কথা হয় ক্রেতা সাজিনা আক্তারের সাথে। তিনি জানান বছরে ঈদের সময় প্রথমে ছেলে মেয়েদের পছন্দের জামা কাপড় কিনে দিতে হয়। তার পর নিজের পছন্দের কাপড় কিনতে হয়। দাম বড় নয় আসলে পছন্দটা বড়।
শমশেরনগর রহিম ম্যানশনের শুভেচ্ছা ক্লথ স্টোরের মালিক প্রেমানন্দ দেবনাথ, এ কমপ্লেক্সের রঙ্গন ফ্যাশনের মালিক শাহজাহান মানিক বলেন, এ স্থানটি কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের দৈনন্দিন কেনা কাটার বাজার। এখানে প্রচুর পরিমাণে ক্রেতা রয়েছেন। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে দেখা যায় দাম নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। বিক্রেতারাও বিক্রয়ে সন্তুষ্ট। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচা কেনা
পাশাপাশি জুতার দোকানের পছন্দের জুতা ক্রয় বিক্রয়ে ব্যস্ত ক্রেতা ও দোকানীরা। তবে কমলগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় জুতার দোকান শমশেরনগরের শরিফ সু স্টোর ও ডলি সু স্টোরে ক্রেতাদের ভিড় বেশী। নানান কোম্পানির জুতার মাঝে বাটা, এপেক্সের কালেকশনের জুতার চাহিদা বেশী।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি