সিলেট ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক ::: ফেসবুকে শুরু হওয়া বিতর্কের জের ধরে একদল লোক শ্রীলঙ্কার চিলো শহরের একটি মসজিদে ও মুসলিমদের মালিকানাধীন দোকানপাটে পাথর নিক্ষেপ করেছে। পিটিয়েছে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোববার পশ্চিম উপকূলের শহরটিতে এ ঘটনার পর চিলো পুলিশের আওতাধীন এলাকাজুড়ে পরদিন ভোর পর্যন্ত (স্থানীয় সময়) কারফিউ জারি ও পরে ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, যার ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত সেই আব্দুল হামিদ মোহাম্মদ হাসমারকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে তারা।
অনলাইনে তার মন্তব্য ‘এক দিন তোমরা কাঁদবে’ কে সহিংসতার হুমকি হিসেবে দেখেছিল স্থানীয়রা।
পুলিশের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, মুসলিমদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে রোববার রাতে ও সোমবারের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় কর্তৃপক্ষগুলো কুলিয়াপিটিয়া ও ডুম্মালাসুরিয়ার নিকটবর্তী এলাকাগুলো থেকে একটি দলকে গ্রেপ্তার করেছে।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সুমিথ আতাপাত্তু জানান, এরপর ওই এলাকার লোকজন গ্রেপ্তারদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতের জন্য পুলিশ কারফিউ জারি করা হয়েছে।
তিন সপ্তাহ আগে শ্রীলঙ্কার ইসলামপন্থী আত্মঘাতী বোমারুরা চারটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় হামলা চালিয়ে ২৫৩ জনকে হত্যা করে। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে হেনস্থা করার বহু অভিযোগ পেয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মুসলিম গোষ্ঠীগুলো।
পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা রয়টার্সকে বলেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চিলোর পুলিশ এলাকায় একটি পুলিশ কারফিউ জারি করা হয়েছে যা আগামীকাল ভোর ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। পরে অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, ভোর ৪টায় কারফিউ তুলে নেওয়া হবে।
ফেসবুকে যে বিতর্কের ঘটনা নিয়ে পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার একটি স্ক্রিনশট দেখেছে রয়টার্স, তাতে দেখা গেছে এক ব্যবহারকারী সিংহলিতে লিখেছেন, আমাদের কাঁদানো কঠিন। এরপর সঙ্গে স্থানীয়ভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত অপমানজনক একটি উক্তি জুড়ে দেন তিনি। ‘বেশি হাইসো না, একদিন তোমরা কাঁদবে’ ইংরেজিতে এমন মন্তব্য করে জবাব দেন হাসমার হামিদ নামে শনাক্ত করা ওই ব্যক্তি। এই ব্যক্তিকেই পরে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন দুই স্থানীয়।
হাসমার খ্রিস্টান প্রধান শহর চিলোর স্থানীয় বাসিন্দা। তার জবাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে এমনটি মনে করে তাকে মারধর করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে হাসমারের কোনো মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি বলে জানায় রয়টার্স।
নিরাপত্তার কারণে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসলিম ব্যক্তি বলেন, পরে তারা তিনটি মসজিদে ও মুসলিমদের মালিকানাধীন কয়েকটি দোকানে পাথর নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি এখন শান্ত থাকলেও রাত নিয়ে শঙ্কায় আছি আমরা। পাথর নিক্ষেপে একটি মসজিদের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েক ডজন যুবক নিউ হাসমারস্ নামের একটি কাপড়ের দোকান লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে আর চিৎকার করছে। ওই দোকানটি গ্রেপ্তার হাসমারের বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এসব ঘটনার পর সোমবার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ কয়েকটি সামাজিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ম্যাসেজিং অ্যাপ বন্ধ করে দেয় শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ।
শ্রীলঙ্কার সরকারি তথ্য বিভাগের মহাপরিচালক নালাকা কালুউয়িবা সোমবার রয়টার্সকে জানান, ‘দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য ফের সাময়িকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে।’
দেশটির কয়েকটি সম্প্রদায় জানিয়েছে, আসন্ন জঙ্গি হামলার সতর্কতা পেয়েও সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেনি এবং হামলার পর তারা সম্ভাব্য সব জঙ্গিকে ধরতে পারেনি, এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কিত হয়ে আছেন তারা।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি