সিলেট ২৮শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক ::: পঞ্চগড়ে কারা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার। পলাশ কুমার রায়ের বড় ভাই বিপ্লব কুমার রায়, মেজ ভাই প্রদীপ কুমার রায়, ছোট ভাই অমিয় কুমার রায় ও বোন কবরী রানী রায় জানান, আগামী ১৩ এপ্রিল পলাশ কুমার রায়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠান শেষে তারা একটি হত্যা মামলা দায়ের করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাই-বোন বলেন, হাইকোর্ট বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে সত্যতা বেরিয়ে আসবে এবং আমরা সুষ্ঠু বিচার পাবো বলে আশা করছি।
পলাশ কুমার রায়ের চাচাত ভাই অ্যাডভোকেট রাজেশ কুমার রায় বলেন, ‘কারা হেফাজতে আমার ভাইয়ের আগুনে দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এরপর ঘটনা সম্পর্কে পরিবারকে না জানানোর বিষয়টিও রহস্যজনক। আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করছি, সেই তদন্তেই সবকিছু বের হয়ে আসবে এবং আমরা ন্যায়বিচার পাবো।’
নিহতের মা সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মীরা রাণী অভিযোগ করেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যার ঘটনায় কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে তারা ষড়যন্ত্র করে আসছে। কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানির হয়রানি আর নির্যাতনে আমার স্বামী মারা গেছেন। আমার গোটা পরিবার হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার। তারা আমার ছেলেকে বাঁচতে দিলো না।’
মীরা রাণী আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘এই নির্যাতন আর হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য গত ২৫ মার্চ আমার পরিবার পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন করতে গিয়েছিল। আমাদের উদ্দেশ ছিল– মানববন্ধন দেখে যেন প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নেন। গত ২৬ মার্চ পুলিশ আমার ছেলে পলাশকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। ওই দিনই কারা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আগুনে দগ্ধ হয় আমার ছেলে, যা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় জেলা কারাগারের জেলার মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ থেকে একটি মানহানির মামলায় পলাশ জেলে ছিলেন। সিরোসিস অর্থাইটিস রোগে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে না পারায় তাকে কারা হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। কারাবিধি অনুযায়ী তাকে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া ও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তার পরিবার থেকে এখন যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, সেসবের কোনও ভিত্তি নেই, সত্যতা নেই। বিচার বিভাগীয় তদন্তেও এসব অসত্য বলে প্রমাণিত হবে।’
এদিকে, পলাশ কুমার রায়ের মৃত্যুতে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট এহতেশাম রেজা বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন, কারা হাসপাতারের অন্যদের বক্তব্য নেওয়াসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তৈরি প্রতিবেদন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেই প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বলেও জেনেছি।’ তবে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে আমরা কোনও দাহ্য পদার্থের অস্তিত্ব পাইনি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর উপ-কারা মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শেষ করেছে। আর রাজশাহী বিভাগীয় উপ-কারা মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এখনও তদন্ত করছে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি