সিলেট ১লা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রজব, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক ::: ভারতের লোকসভা নির্বাচন ঘিরে বারবার উঠে আসছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এর আগে অনুপ্রবেশের তত্ত্বকে সামনে রেখে বিজেপি প্রথমে বামদের এবং পরবর্তীকালে তৃণমূলকে টার্গেট করত। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে এনআরসি ইস্যুকে সামনে এনে প্রচারের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের দুই অভিনেতা ফেরদৌস ও নূরের তৃণমূলের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার চালানোর ঘটনায় সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি। তা নিয়ে খোঁচা দিতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
বুধবার বীরভূমের বোলপুরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময়ও ফের বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ থেকে লোক এনে আমাকে হটানোই দিদির লক্ষ্য। সীমান্ত পেরিয়ে যারা আসছে, তাদের বোমা বানানোর অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার মুখে মুখে ‘দিদি’ নামেই পরিচিত। রাজনীতির অন্দর-বাইরেও তাকে দিদি ডাকা হয়। সেই নাম সম্বোধন করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘গত বছর বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। এবার ভারত নির্মাণের জন্য এখানে এসেছি। দিদি পশ্চিমবাংলাতে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছেন। তাই দিদির সূর্য খুব তাড়াতাড়ি অস্ত যাবে। দিদির সিংহাসন যত নড়ছে তার গুণ্ডারা তত মারপিট করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে যা হয়েছে, তা গুণ্ডাদের গুণ্ডামির জন্য। গুণ্ডাদের সামনে দাঁড়াতে হবে, দিদির কাছে যদি গুণ্ডাতন্ত্র থাকে, আমাদের সঙ্গে লোকতন্ত্র আছে। এখন চৌকিদার ও সেবকের প্রচারে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। সবাইকে নিয়ে বাংলাকে গুণ্ডামি থেকে মুক্তি দেবই।’
আত্মবিশ্বাসের পারদ চড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৩ মে আবার মোদি সরকার আসছে। তার পরেই তৃণমূলের অত্যাচারী সরকারের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। দিদি পশ্চিমবঙ্গে ভিন দেশিদের আসা-যাওয়া ও দাদাগিরি টপ গিয়ারে রেখেছেন কিন্তু উন্নয়নে ব্রেক লাগিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যে তোলাবাজি চলছে, এখানে দাদাদের কমিশন দিয়ে কাজ করতে হয়।
নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেন, ‘শান্তিনিকেতনকে অশান্তিনিকেতন করে দিয়েছে। বাংলার বেটা-বেটিরা যারা প্রথম ভোট দেবে, তারা দাদাগিরি বা দিদিগিরি চাইবে না।’
বিদেশ ভ্রমণ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘দিদি বলছেন, চা ওয়ালা বারবার বিদেশ গিয়েছে। গত পাঁচ বছর বিদেশ যাত্রা করেছি বলেই সারা বিশ্ব ভারতের ক্ষমতা দেখেছে। পাঁচ বছর আগে আমাদের কথা কেউ শুনত না। সৌদি প্রিন্স এসেছিলেন, তাকে বলেছি দেশের মুসলমানদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বেড়েছে, তাই আরও বেশি মুসলমান হজ করতে চান। দুই লাখ হজযাত্রী বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছি, তিনি তা করেছেন। এমনকি তাদের দেশে বন্দি থাকা ৮০০ বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখন মন্দির তৈরি হচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে পূজা করতেও মানুষ ভয় পাচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে আফগানিস্তানে অপহরণ হয়েছিল। তাকে ফিরিয়ে এনেছি। বিদেশ গিয়েছি বলেই এ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। দিদি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বিমান হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু এটা চৌকিদারের সরকার– আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ঘরে ঢুকে মেরেছি। এই সন্ত্রাসবাদীদের খতম করতে আপনাদের একটি ভোট দরকার। এই ভোট চৌকিদারের ক্ষমতা বাড়াবে এবং আপনাদের আশা পূরণ করবে।’
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রধান সম্পাদক : মোঃ উস্তার আলী,
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
বার্তা সম্পাদক : আব্দুল খালিক।
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ৩/১৭, সুরমা মার্কেট (২য় তলা), সিলেট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
০১৭২২-৯৪০২১৬ (বার্তা সম্পাদক)।
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি