সিলেট ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রজব, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক ::: নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের মধ্যেও লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক পক্ষ। তাদের অভিযোগ, শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে আলোচনায় আসছে না।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকে ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ধর্মঘট শুরু করায় সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সকালে ঢাকার সদরঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। অনেকেই ঘাটে এসে কোনো লঞ্চ না পেয়ে বিপাকে পড়েন।
বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা বলেন, সকালে সদরঘাটে অনেক যাত্রী এসেছিল। কিন্তু লঞ্চ না চলায় তারা ফিরে যান। তবে দুপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চের মালিকরা তাদের নৌযান চালানোর সিদ্ধান্ত জানান। এরপর সদরঘাট পন্টুনে ভিড়তে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি লঞ্চ। শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেনি।
বরগুনা, হাতিয়া, বেতুয়া, বোরহান উদ্দিন, বরিশাল, ঝালকাঠি রুটের এমভি জাহিদ ৮, রনধূত, ফারহান ৩, ৬, ১০ ও ১২ রাশেদ ১, টিপু ৭ লঞ্চগুলো পন্টুনে দেখা গেছে।
এমভি টিপু-৭ এর মহাব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন জানান, বিকাল সোয়া ৫টা থেকে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তারা (শ্রমিকরা) তো দাবি নিয়ে মালিক বা সরকারের কাছে বসছে না। সোমবার শ্রম পরিদপ্তরে মিটিং হয়েছে, সেখানেও তারা উপস্থিত ছিল না।
মালিকদের এই অবস্থানেও ধর্মঘটে অটল থাকার কথা জানিয়ে মিতালী লঞ্চের মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ধর্মঘট চলছে। এখন কিছু মালিক লস্কর ও ডকে পড়ে থাকা বেকার মাস্টার দিয়ে লঞ্চ চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এখন দেখা যাক কী হয়? আর পন্টুনে লঞ্চ ভিড়লেই তো হবে না, ছেড়ে যাওয়ার মতো যাত্রীও তো পেতে হবে।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত কাঠামোয় মালিকরা বেতন না দেওয়ায় এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে।
মোস্তাফিজুর বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতন মালিকরা আমাদের এখনও দিচ্ছে না। আমাদের কোনো ইনক্রিমেন্ট নেই, নেই কোনো নিরাপত্তা। তাই এসব দাবিতে যাত্রীবাহী, মালবাহী, তেলবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল আমরা বন্ধ রেখেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা লঞ্চ চালাব না।
শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- যাত্রীবাহী লঞ্চের কর্মীদের জন্য ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন কাঠামোর পূর্ণ বাস্তবায়ন, সব শ্রমিকদের ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা অথবা খাদ্যভাতা দেওয়া, কর্মস্থল কিংবা দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে শ্রমিকদের ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র দেওয়া, মাস্টার পরীক্ষার সনদ দেওয়া ও নবায়নে অনিয়ম বন্ধ, বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা ও বয়া-বাতি স্থাপন ইত্যাদি।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি