সিলেট ৩রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
ছয়বার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেও ঝুলিতে শিরোপা নেই একটিও। এর মধ্যে এশিয়া কাপেই তিনবার ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফেরার কষ্ট তো আছেই। কষ্টটা আরও বেড়ে যায় যখন এক ২০১৮ সালেই তিন টুর্নামেন্টের ফাইনালে পরাজয়ের যন্ত্রণা সইতে হয়, এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষেই দু’বার!
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ বলে পরাজয়ের কষ্ট ভুলতে অনেকেই হয়তো বলবে ‘এটা শুধুই আরেকটা ম্যাচ’। কিন্তু গত ৯ বছরে কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা না জিততে পারা, তাও ছয়বার ফাইনাল খেলে, মেনে নিতে কষ্ট হবে বই কি!
কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ প্রথম খেলে ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে। ওই সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানের আক্ষেপ জাগানিয়া পরাজয়। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে আবার পরাজয়। এবার প্রতিপক্ষ ভারত (৮ উইকেটে)।
২০১৮ সালে ঘরের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭৯ রানের পরাজয়। চলতি বছরেই নিদাহাস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে শেষ ওভারে নাটকীয় পরাজয় (৪ উইকেটে)। আর সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের ফাইনালে ৩ উইকেটের পরাজয়। সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছেই।
বারবার এই তীরে এসে তরী ডুবার যন্ত্রণা সহ্য করা অনেক কঠিন। এই মৌসুমেই ফিনিশিংয়ে সমস্যার কারণে আরও দুই ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে, দেরাদুনে আফগানদের বিপক্ষে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত সিরিজে।
অথচ আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওভারে মোস্তাফিজ ঠিকই জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। একই কীর্তি তিনি ভারতের বিপক্ষে ফাইনালেও প্রায় গড়েই ফেলেছিলেন। সেই ম্যাচের সঙ্গে এই ম্যাচের পার্থক্য একটাই, সেবার শেষ ওভার করেছিলেন আর এবার ৪৯তম ওভার। আক্ষেপ থেকেই গেলো, শেষ ওভারটা যদি মোস্তাফিজ করতে পারতেন! এমন আক্ষেপের গল্প মন ভেঙে দেওয়া ছাড়া কি আর করতে পারে।
তবু মাত্র ২২২ রানের পুঁজি নিয়ে বুক চিতিয়ে বাঘের মতো লড়াই করেই হেরে যাওয়াটুকুই সান্ত্বনা। একদিন এই আক্ষেপ ঘুচবে সমর্থকদের এমনটাই আশা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে টাইগারদের লড়াইয়ের প্রশংসা বৃষ্টি বইছে।
তবে লড়াই করে হেরে যাওয়ার সান্ত্বনা আর নয়, অন্তত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সোনালী প্রজন্ম- মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, যারা এমন হৃদয়ভাঙা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি অনেকবার হয়েছেন- তাদের জন্য হলেও একটা শিরোপা যে চাই।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি