সিলেট ২৫শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সদ্য খেতাবপ্রাপ্ত বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে তাদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছে রাজাকার সন্তানেরা।
শনিবার রাতে স্থানীয় শ্যামারচর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা সমাবেশ করে বীরাঙ্গনাদের ‘নষ্টা’ আখ্যায়িত করে আপত্তিকর স্লোগানও দেয়। রাজাকার সন্তানদের ন্যক্কারজনক এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীর ছেলেকেও মারধর করেছে তারা। এ ঘটনায় বীরাঙ্গনার পরিবারের স্বজনেরা আতঙ্কে আছেন।
হাওরটোয়েন্টিফোর ডটনেট এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধ মামলায় এই এলাকার ৬ যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। স্থানীয় দৌলতপুর গ্রামের শীর্ষ দালাল প্রয়াত আব্দুল খালেকের পুত্র জুবের মনিরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানোর পর তাদের সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এলাকার প্রভাবশালী জুবের মনিরের স্বজনেরা এ ঘটনায় এলাকার সদ্য বীরাঙ্গনা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নারী পিয়ারা বেগম, জাহেরা বেগম, মুক্তাবান বিবিসহ তাদের স্বজনদের দায়ী করে আসছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বীরাঙ্গনা ও তাদের স্বজনরা ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দলের কাছে একাত্তরে তাদের ও তাদের শহীদ স্বজনদের উপর নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয় রাজাকারের সন্তানেরা। তাছাড়া জুবের মনিরের স্বজনদের অনেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় বীরাঙ্গনা ও তাদের পরিবারদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। .
সম্প্রতি সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বীরাঙ্গনাদের গ্রামে গিয়ে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে এসেছেন। কেউ তাদের হুমকি ধমকি দিলে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন তারা। এসব কারণেও দালাল ও রাজাকারদের সন্তানরা তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়।
এর জের ধরে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আব্দুল হেকিম, যুদ্ধাপরাধ মামলায় কারাগারে থাকা রাজাকার জলিল মিয়ার ছেলে সুয়েব মিয়া, তার ভাতিজা শফিকুল ইসলাম, সবুজ, জব্বার, রাজাকার শুকুর মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন ও তার ছেলে সুমন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় কারাগারে থাকা তোতা মিয়ার স্বজনেরা শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শ্যামারচর বাজারে বীরাঙ্গনাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে বীরাঙ্গনা ও তাদের স্বজনদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। এছাড়াও স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে পরিচিত আরেক তোতা মিয়ার ছেলে গোলাপসহ ওই চক্র বিক্ষোভের আগে স্কুলে বৈঠক করে। পরে মিছিলে তারা আপত্তিকর স্লোগান দেয় বীরাঙ্গনাদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী নূরুল ইসলামের ছেলে মাছুম মিয়া প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে তারা।
এপ্রসঙ্গে গোলাপ মিয়া বলেন, আমি কোন মিছিল ও সভায় ছিলাম না। আমি বিএনপি করি। মিছিল ও সভা করেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কিছু নেতারা। তবে তারা যখন স্কুলের মাঠে বৈঠক করে তখন আমি স্কুলের সভাপতি হিসেবে স্কুলে ছিলাম।
দিরাই থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, বীরাঙ্গনাদের বিরুদ্ধে মিছিলে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে মিছিল ও সভা হয়েছে বলে শুনেছি। কেউ বীরাঙ্গনাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি