সিলেট ৩০শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ৮ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক ::: ভেনেজুয়েলায় ২৪ ঘণ্টার ব্ল্যাকআউটে (বিদ্যুৎ বিপর্যয়) জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো এই ব্ল্যাকআউটের ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্যাবোটেজ’ বলছেন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পুরো দেশ অচল হয়ে পড়ে।
শনিবার (৯ মার্চ) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভেনেজুয়েলায় এত দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ঘটনায় ভেনেজুয়েলায় চলমান রাজনৈতিক সংকটে আরও উত্তাপ সৃষ্টি হয়। দেশটির স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট বিরোধী দলের নেতা হুয়ান গুয়াইদোর প্রতি সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
প্রেসিডেন্ট মাদুরোর দাবি, তার প্রতিপক্ষের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র এই ‘স্যাবোটেজ’ করেছে।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলসি রদ্রিগেজ এই টুইট বার্তায় জানান, দেশব্যাপী বিদ্যুৎ–সংযোগ চালু করার কাজের জন্য প্রেসিডেন্ট মাদুরো সব কার্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে অল্প অল্প করে রাজধানী কারাকাসের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ চালু হয়। পাশাপাশি মিরান্দা ও ভারগাসের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ চালু হয়। তবে চালু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ–সংযোগ আবারও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সময় ২৪ ঘণ্টা ছাপিয়ে যায়।
রাত গভীর হলে রাজধানীজুড়ে লোকজন সসপ্যান পিটিয়ে শব্দ করা শুরু করে। এটা দক্ষিণ আমেরিকায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের জনপ্রিয় একটি পন্থা।
কিছু জ্বালানি তেলের স্টেশনে লোকজনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। তারা জেনারেটর বা গাড়ির জন্য জ্বালানি তেল নিতে আসেন।
অ্যান্টনিও বেলিসারিও নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পেট্রোল নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। বিদ্যুৎ–সংযোগ চালু হওয়া মাত্রই চলে যাচ্ছে।
দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ঘটনায় দেশটি জুড়ে বিশৃঙ্খলা লেগে যায়। অনেকে রাতের অন্ধকারে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতাল থেকে জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে—এমন ক্লিনিকগুলোয় স্থানান্তর করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারাকাসে ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে মারিয়েলসি অ্যারে নামের এক রোগী মারা যান।
তার চাচা জোসে লুগো বলেন, চিকিৎসকেরা তার ভাতিজাকে হাত দিয়ে পাম্প করাসহ যা করার সব রকম চেষ্টা করেছিলেন বাঁচানোর জন্য। কিন্তু বিদ্যুৎ–সংযোগ না থাকলে তাঁরা আর কতটুকুই কী করতে পারবেন?
ইমিলসে আরেলানো নামের এক মা জানান, তার সন্তানের জরুরি ডায়ালাইসিস বাতিল হয়ে যায়। হাসপাতালের কর্মীরা মোবাইল ফোনের আলোতে কাজ করছিলেন।
কারাকাসের প্রধান মর্গ বেলো মন্টের রেফ্রিজারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের উদ্বেগ নিয়ে মর্গের বাইরে অবস্থান করতে দেখা যায়। তারা সৎকারের জন্য মরদেহ নেওয়ার অনুমতির অপেক্ষা করছিলেন।
বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ট্রাফিক সংকেত অকার্যকর হয়ে পড়ে। সাবওয়ে সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ লোকজন অফিস থেকে দীর্ঘ পথ হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা দেন। অপরাধপ্রবণ কারাকাস শহরে হাজার হাজার বাড়িঘরে বিদ্যুতের অভাবে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শহরটিতে ২০ লাখ লোকের বাস রয়েছে।
টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর সিমোন বলিভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যুতের অভাবে কার্যক্রম ব্যাহত হয়। হুয়ান গুয়াইদোর পক্ষে সীমান্ত দিয়ে বিদেশি সাহায্য বন্ধে প্রেসিডেন্ট মাদুরো সীমান্ত বন্ধের ঘোষণার পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে দেশটি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি