সিলেট ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জেএসডি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, পুলিশ, আনসারের তো যথেষ্ঠ মতা নেই। কোনো বিশৃঙ্খলা হলে সেনাবাহিনী যাতে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে সেটা আমরা বলেছি। ম্যাজিস্ট্রেসি মতা দিয়ে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
সোমবার নির্বাচন ভবনের সভাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এর আগে বৈঠকে যোগ দিতে আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে আসে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লাহ বুলুসহ আরো পাঁচ নেতা।
আ স ম রব বলেন, আমাদের প্রস্তাব উনারা (ইসি) বিবেচনায় নিয়েছেন। আমরা বলেছি- ইসি তো নিরপে সংস্থা। আপনারা সিরিয়াস হবেন না। ‘আরও বলেছি নির্বাচনের পরও অর্থাৎ ২০১৯ সালের পরও তো দেশে আপনাদের থাকতে হবে। সেই কথাটা ভেবেই আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন।’
ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেছি আমরা চাই না, কেউ চায় না ভোটাররাও চায় না নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হোক। ‘পোলিং এজেন্টদেরও নিরাপত্তা দিতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে সাদা কাগজে তাদের কাছ থেকে কোনো সই নেওয়া যাবে না। ফল গণনার পর প্রথমেই তাদের দেখাতে হবে।’
উল্লেখ্য, আগামী ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত আছে নির্বাচন কমিশনের। রোববারের বৈঠকে এই বিষয়চি চূড়ান্ত হয়। জানানো হয়, তফসিলে ভোটের জন্য দেড় মাসের মতো সময় দেয়া হবে। এই হিসাবে ভোট হতে পারে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে।
তার আগের দিন ঐক্যফ্রন্টের প থেকে এখনই তফসিল ঘোষণা না করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনে। আর এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে ফ্রন্টের মুখপাত্র রব সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘নির্বাচনের পরও নির্বাচন কমিশনারদেরকে এই দেশে বাস করতে হবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে হবে। সেই বিষয়টিও তাদের ভেবে দেখতে বলা হয়েছে।’ ‘আমরা ৭ নভেম্বর সংলাপের পর ফলাফল না আসা পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা না করতে বলেছি। তারা (ইসি) বিবেচনায় নিয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।’
গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও তার জোটের শরিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম ব্যবহার না করার দাবিতে সাড়া দেননি প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় আগামীকাল বুধবার সীমিত পরিসরে আবার সংলাপে বসতে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। আর এই সংলাপ শেষে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে সংলাপের ফলাফল জানাতে পারেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় ভোটে ইভিএম ব্যবহার না করার দাবিও জানানো হয়। এ বিষয়ে রব সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমরা বলেছি, দেশের জনগণ চায় না, রাজনৈতিক দলগুলো চায় না। তারপরও কেন ইভিএম ব্যবহারের জন্য তোড়জোড় হচ্ছে? তারা (ইসি) এই বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়েছে।’ ভোটগ্রহণের আগেই সাদা কাগজে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কারও সই নেবেন না বলেও নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আশ্বাস আদায় করেছে ঐক্যফ্রন্ট।
এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের আস্থা আছে কি না, এ নিয়েই দুপরে মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তবে বৈঠকের পরে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় নয়, ভেতরে গলার আওয়াজ এমনই ছিল।
সূত্র জানায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বৈঠকে বলেন, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো অনাস্থার কথা বলতে আসেননি। তবে এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা নেই।
মান্নার বক্তব্যের জবাব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘আপনাদের (রাজনৈতিক দল) ওপরও তো জনগণের আস্থা নেই।’
সিইসির এই বক্তব্যের পর মান্না বলেন, ‘মাইন্ড ইয়োর ল্যাঙ্গুয়েজ।’
এরপর প্রতিনিধিদলের অপর সদস্য সুলতান মনসুর বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখা গেছে এক দলের নেতা আরেক জেলায় জেলে। এভাবে চলতে পারে না। তিনি ইসিকে সতর্ক করে বলেন, ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর করা যাবে না।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি