সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা রজব, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০১৯
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর যেখানে আনন্দে ভাসেন ব্যাটসম্যানরা সেখানে আক্ষেপে পুড়ছেন সৌম্য সরকার। নিজের এমন একটি দারুণ ইনিংস খেলার পরও তিনি সেটি উপভোগ করতে পারছেন না। কারণ সৌম্যর কাছে দেশ একটা ‘সামান্য’ সেঞ্চুরির চেয়ে অনেক বড় কিছু। হ্যামিল্টনে দেশ হেরেছ ইনিংস ব্যবধানে, সেঞ্চুরি উদযাপনের সুযোগ কোথায়? কারণ কিন্তু সৌম্যকে পোড়াচ্ছে দেশের হারই, ‘টেস্ট সেঞ্চুরি করে তো অবশ্যই ভালো লাগছে। এটা আমার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। কিন্তু ম্যাচটা তো হেরেছি। এ জন্য আক্ষেপ থাকবেই। যদি জিততাম, বা ড্র করতে পারতাম, তাহলে অনুভূতিটা অন্যরকম হতে পারত।’
নিজে ভালো খেলেছেন, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ভালো খেলেছেন, কিন্তু এত কিছুর পরেও ইনিংস হার সঙ্গী হওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না তিনি, ‘খারাপ লাগছে আউট হয়ে গিয়েছি। থাকতে পারলে ওরা আবার নামত। আমি থাকলে রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) আরও ভালো খেলতেন। আমরা দুজনই ২০০ করতে পারলে আজকে হয়তো খেলাই শেষ হতো না।’
হ্যামিল্টনের এই শতক সৌম্যকে অনেক কিছু শিখিয়েছেও, ‘যে সময়টায় ব্যাটিং করছিলাম, পরিস্থিতিটা খুব কঠিন ছিল। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা যে পরিকল্পনায় বোলিং করছিল, তেমন পরিকল্পনায় আগে কখনো ব্যাটিং করিনি। বল বাউন্স করছিল, এর মধ্যে টিকে থাকাটা খুব কঠিন ছিল। অনেক রান মাথার ওপরে ছিল। তার ওপর দুই দিন ব্যাটিং করতে হবে। রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তারপরেও আমরা যদি প্রথম ইনিংসে আরও রান করতাম, তাহলে আমাদের জন্যই ভালো হতো। তাহলে খেলাটা নিদেনপক্ষে ড্রয়ের দিকে এগোত।’
সৌম্যর এমন অনেক ইনিংস আছে যেসবে ভালো শুরুর পরেও তা দীর্ঘ করতে পারেননি। সবকিছু চিন্তা করেই আজ নিজেকে একটু অন্যভাবে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি, ‘আমি চেষ্টা করে গিয়েছি উইকেটে টিকে থাকার। আমি সে সময় তাড়াহুড়ো করলে হয়তো দলের বিপদ বাড়তে পারত। দলের আরও খারাপ হতো। ওরা যেভাবে বোলিং করছিল, আমি উইকেটে টিকে থেকে উইকেটের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করেছি। ওদের বোলারদের বেশি করে খেলতে চেয়েছি। পরে সেট হয়ে বলের মেরিট অনুযায়ী খেলতে চেয়েছি।’
সৌম্য নিজে বলছেন টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ইনিংসে চোখ ধাঁধানো যে শটগুলি খেললেন, সেটির সমন্বয়টা কীভাবে করলেন তিনি? সৌম্যর উত্তর খুবই সোজা-সাপটা, ‘চিন্তা করেছি ওরা যেভাবে ভালো বোলিং করছিল, তাতে একপর্যায়ে দেখলাম রান না করে কেবল টিকে গেলে হবে না, একটা ভালো বল হয়ে গেলেই আউট হয়ে যাব। নিজের রানটাও করা হবে না। কিন্তু চড়াও হলে ওরা পরিকল্পনা পরিবর্তন করবে। তবে চড়াও হতে চেয়েছি কিছু কিছু বলে। রক্ষণাত্মকের পাশাপাশি আক্রমণাত্মক হওয়ারও চেষ্টা করেছি।’
সৌম্য দলকে জেতাতে চান, জেতার সময় পারফরম করতে চান, সেই পারফরম্যান্স উদযাপনেও মজা। আপাতত ভবিষ্যতে সে মজাটা অবশ্যই পেতে চান তিনি, ‘দলের জয় সব সময়ই ভালো লাগে। আর দলের জেতায় পারফরম করতে পারলে সেটি আরও ভালো লাগে। আমি শতরান করেছি। এতে আমি নিজে হয়তো খুশি। কিন্তু দল যেহেতু জেতেনি, তাই এর কোনো মূল্য নেই।’
সৌম্যর সেই উদযাপনটা তোলা রইল ভবিষ্যতের জন্যই।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি