সিলেট ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রজব, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক :::দেশের দীর্ঘতম নদী সুরমা। বর্ষায় থাকে পানিতে টইটুম্বুর আর শুষ্ক মৌসুমে জাগে শতাধিক চর। শুষ্ক মৌসুমে সুরমায় চর জেগে পরিণত হয় শিশুদের খেলার মাঠে। প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস মরা নদীতে পরিণত হয় সুরমা।
সুরমা নদী খননের জন্য দীর্ঘদিন থেকেই দাবি জানানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত সমীক্ষায়ই আটকে আছে সুরমার খনন কাজ।
সুরমা নদী খননের জন্য প্রায় ৩ বছর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর প্রস্তাবনা পাঠালেও এখনো শুরু হয়নি খনন কাজ।
ভারতের আসাম রাজ্য থেকে নেমে আসা বরাক নদী সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসীদ এলাকায় সুরমা ও কুশিয়ারা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সুরমা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, সিলেট সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ শহর ও আজমিরীগঞ্জ হয়ে ভৈরবের কাছে মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ২৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘের সুরমা নদী ৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে শহরাঞ্চলের মাত্র ৬০০ মিটার খনন করা হয়। তবে এ নদীর নাব্যতা ফেরাতে প্রয়োজন হয় আরো বড়ো খনন প্রকল্প। সে সময় শরীফাবাদ, খাদিমনগর, সেনানিবাস সংরক্ষণের জন্য রুস্তমপুর ও নলুয়া খনন এবং কানাইঘাটের বেশ কিছু এলাকা খনন প্রকল্প অনুমোদন চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর। কিন্তু সে প্রস্তাবনা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তাছাড়া দেশের ১০ জেলায় নদী খনন প্রকল্পের আওতায় সুরমা নদীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও এখনো চলছে সমীক্ষা। এ সমীক্ষা কবে আলোর মুখ দেখবে তাও সঠিক করে বলতে পারছেন না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সুরমা নদী খনন প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয় থেকে সদ্য বদলী হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখনো কোন প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। তবে কিছুদিনের মধ্যে প্রকল্প আসবে।
এদিকে সুরমার উৎসমুখ ভরাট হয়ে নিচের দিকে দেখা দিয়েছে অসংখ্য চর। এ চরের কারণে নদীতে চলাচল করতে পারছে না কোন পণ্যপরিবহন। বর্ষায় যেখানে নদী থাকে টইটুম্বুর শুষ্ক এ মৌসুমে ইতোমধ্যে পানি শুকিয়ে হয়েছে শিশুদের খেলার মাঠ নাহয় কৃষিচাষের জমি। তবে উৎসমুখ ভারত থেকে প্রতি বর্ষা মৌসুমে নিচের দিকে নেমে আসে বালু।
ফলে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খনন প্রয়োজন জানিয়ে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, অমলসীদ সুরমা কুশিয়ারার যে মিলনস্থল, সেখানের যে অংশে বাংলাদেশ ভারতের সীমানা নির্দেশ করা হয়েছে সেখানে খনন করতে হবে। একই সাথে বালু যাতে পুণরায় না নামে বা এ খনন কিভাবে দীর্ঘস্থায়ী হয় সে বিষয়টা পরিকল্পনা করে খনন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সমীক্ষা।
এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম সুরমার নাব্যতা ফিরাতে খনন একান্ত জরুরি উল্লেখ করে বলেন, উজান থেকে নিচের দিকে বালু নামবে এটাই নিয়ম।
নিচের দিক খননের চেয়ে উজানে খনন করা বেশি জরুরি উল্লেখ করে বাপা সিলেটের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট এবং লোভাছড়া যেখানে মিশেছে সেখানটায়ও খনন জরুরি। তা না হলে সুরমার নাব্যতা ফিরানো সম্ভব না। তাই দ্রুত খননের মাধ্যমে সুরমার নাব্যতা ফিরানো হোক এটা সিলেটবাসীর দাবি।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি