সিলেট ৩রা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ১৯শে রজব, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক :::চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কমান্ডো অভিযানে নিহত বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী মাহাদীকে (২৩) ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলেছেন তার সাবেক স্ত্রী ও চিত্রনায়িকা সিমলা। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভারতের মুম্বাই থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভিতে এক অনুষ্ঠানে সরাসরি সংযুক্ত হন সিমলা। সেখানে তিনি মাহাদী প্রসঙ্গে করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ওই অনুষ্ঠানে সিমলা স্বীকার করেন মাহাদীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
সিমলা বলেন, ‘চিত্রপরিচালক হিসেবেই মাহাদীকে চিনতাম। আমাকে বলেছিলেন, তিনি ইংল্যান্ডে থাকতেন, সেখানে জব করেন। বিয়ের পর উনার বাবা-মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। উনার তিন বোন, কোনও ভাই নেই, উনি একাই।’ তার পরিবারের সঙ্গেও মাহাদীর পরিচয় ছিল বলেও জানান সিমলা। তবে তাদের বিয়ের বিষয়টি সিমলার পরিবার জানতো না।
সিমলা বলেন, “আসলে বিয়ের দুই-তিন মাস পরে আমি বুঝতে পারি, উনি আসলে মানসিকভাবে একটু অন্যরকম, অটিস্টিক ব্যাপারটা ছিল। ওইভাবে আসলে সংসারটা করা হয়নি। আসলে তার কথার সঙ্গে কাজের মিল পাচ্ছিলাম না। উনি যে আসলে বাইরে থাকেন, আমি তার পাসপোর্ট দেখতে যাই, তখন কোনও ভিসা ছিল না। তার পাসপোর্ট দেখেই বুঝতে পারি, তার আসল নাম ‘পলাশ আহমেদ’।”
এদিকে সোমবার র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, তাদের ডেটাবেইজের তথ্য অনুযায়ী ওই যুবকের নাম মো. পলাশ আহমেদ। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের দুধঘাটা এলাকার পিয়ার জাহান সরদারের ছেলে তিনি।
একাত্তর টিভিকে সিমলা বলেন, ‘উনি যখন ফোনে কথা বলতেন আমার সাথে কিংবা সামনাসামনি বলতেন, দুটো আলাদা মনে হতো। ফোনে মনে হতো উনি খুব ম্যাচিউরড, সামনাসামনি মনে হতো নার্ভাস। আসলে আমি বুঝতে পারতাম না, মিলাতে পারতাম না। অনেক আচরণে মনে হতো উনি অ্যাবনরমাল।’
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সিমলা বলেন, ‘আমি আসলে উনার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতাম না। উনি যে ম্যারিড ছিলেন, এটা অনেক পরে জেনেছি। আমি ডিভোর্স দিয়েছি নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে। আর আমার লাস্ট দেখা হয় কোরবানি ঈদের আগে, তখন আমি ডিসিশনটা নিয়েছি।’
মাহাদীর সঙ্গে শেষ যোগাযোগ প্রসঙ্গে সিমলা বলেন, “শেষ যখন দেখা হয়েছিল তখন উনি বলেছেন, ‘আমি বাইরে যাচ্ছি। ইংল্যান্ডে যাচ্ছি। আমার কাজ শুরু করবো। আমি চার-পাঁচ মাস পরে ফিরবো।’”
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রধান সম্পাদক : মোঃ উস্তার আলী,
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
বার্তা সম্পাদক : আব্দুল খালিক।
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ৩/১৭, সুরমা মার্কেট (২য় তলা), সিলেট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
০১৭২২-৯৪০২১৬ (বার্তা সম্পাদক)।
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি