সিলেট ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
সোনালী সিলেট ডেস্ক :::অনুমোদিত ১০টি ব্র্যান্ডের বোতল ও জারের পানি নিম্ন মানের বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন-বিএসটিআই। প্রতিবেদনটি হাই কোর্টে জমা দিয়েছে বিএসটিআই।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাই কোর্টে জমা দেওয়া ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টির লাইসেন্স স্থগিত ও ৩টির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
লাইসেন্স স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- সেফ ইন্টারন্যাশনালের ‘ক্যানি’ ব্র্যান্ড (জার), সিনহা বাংলাদেশ ট্রেড লিমিটেডের ‘এ্যাকুয়া মিনারেল’ ব্র্যান্ড (ছোট বোতল), এএসটি বেভারেজ লিমিটেডের ‘আলমা’ ব্র্যান্ডের (ছোট বোতল), মেসার্স ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এর ‘সিএফবি’ ব্র্যান্ড (জার), মেসার্স ইউরোটেক ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির ‘ওসমা’ব্র্যান্ড (জার), ইউনিটি এগ্রো বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ এর ‘এপিক’ ব্র্যান্ড (জার), ফ্রুটস অ্যান্ড ফ্লেভার্সের ‘ইয়াম্মী ইয়াম্মী’ ব্র্যান্ড (পেট বোতল)।
লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- আনন্দ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘আনন্দ প্লাস’ ব্র্যান্ড (জার), রিয়েল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘রিয়েল ফার্স্ট’ ব্র্যান্ড (জার), বেস্টওয়ান ড্রিংকিং এর বেস্ট ওয়ান।
বিএসটিআইয়ের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
এরপর আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাজে জানতে চেয়েছেন, পানি নিয়ে তারা কী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সেটি আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে জানাতে হবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি মো. মোখলেছুর রহমান। রিটকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. জে আর খাঁন রবিন। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম (ফরিদ)।
বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময়ের মধ্য ৬৯টি সার্ভিলেন্স টিম পরিচালনা করে ৩৩ হাজার ৫৭৫টি অবৈধ পানির জার জব্দ করে এবং ৬৫টি নিয়মতি মামলা করা হয়।
পরীক্ষার জন্য বাজার থেকে ২৮টি পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২টির প্রতিবেদনের মধ্যে ১২টি মান সম্মত এবং ১০টি নিম্ন মানের। এ ১০টিকে শোকজের পর ৩টি কোম্পানি জবাব দেয়নি। তাই তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকী ৭টি শোকজের জবাব দিয়ে মান উন্নয়নের জন্য সময় চেয়েছে। এ কারণে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া লাইসেন্স না থাকায় ৩৬ কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।
আইনজীবী মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম ফরিদ জানান, আজকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পক্ষভূক্ত হয়েছে। এরপর আদালত পানি নিয়ে আমাদের কার্যাক্রম জানতে চেয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে।
এর আগে ২১ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে ১৫টি ব্র্যান্ডের (জার ও বোতলের) খাবার পানি পরীক্ষা করে বিএসটিআই বলেছে ৫টি মানহীন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামের প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৭ মে হাই কোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি