সিলেট ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
মনছুর আলী মাছুম :::: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে সিলেট বিভাগীয় অফিসের পিছনে ৬ তলা বিশিষ্ঠ ২য় ভবনের প্রতিটি তলার দেয়াল গুলোতে দীর্ঘ দিন থেকে মেয়াদ উত্তীর্ন অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র শোভা পাচ্ছে। আগুন নেভানোর যন্ত্রগুলির মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু শুধুমাত্র দেখা শোনার অভাবেই সেগুলি বদলানো হয়নি। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটলে যা দিয়ে আগুন নেভানোর কথা সেই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রগুলি আদৌ কাজ করবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
বিভাগীয় অফিসের ওই ভবনে রয়েছে স্থানীয় সরকারের সিলেট দপ্তর, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর, জোনাল সেটেলমেন্ট দপ্তর, উপ-ভূমি কমিশন দপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেটেলমেন্ট অফিস, আনসার ও ভিডিপি সিলেট রেঞ্জসহ সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অফিস। ৬ তলার প্রতি তলার সর্বত্র ঝুলছে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। এই সব অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রগুলির কোনটিও মেয়াদ নেই। ২০০৭ সালে ফুরিয়েছে সব কয়টির মেয়াদ। কোন কোন অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রের গায়ে মেয়াদ ফুরনোর স্টিকার কার্যত অস্পষ্ট। খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে বোঝা গেল, ১২ বছর আগেই মেয়াদ ফুরিয়ে গিছে যন্ত্রগুলির। নতুন স্টিকার লাগানো হয়নি। অর্থাৎ নতুন করে যন্ত্রে ভরা হয়নি আগুন নেভানোর রাসায়নিক।
প্রতি তলার সর্বত্র ঝুলছে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। অফিস গুলোর দেয়ালে-দেয়ালে লাগানো রয়েছে সেগুলি। ১৫-২০ও বেশি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। কিন্তু সেগুলির বেশির ভাগেরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা তো দূরের কথা, বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই অফিস কর্তৃপক্ষেরও।
সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসে আসা রনি নামের একব্যাক্তি জানান, ‘‘এখানে অনেক মানুষ জরুরি কাজে আসেন। সেই সাথে অনেক গুরুত¦পূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষিত আছে। হঠাৎ আগুন রাগলে যে জিনিস দিয়ে আগুন নিভানোর কথা সেই যন্ত্রের মেয়াদ নেই। এটা সাংঘাতিক ব্যাপার।’’ সেটেলমেন্ট অফিসে জমির পর্চা নিতে আসা মনির আহমদ নামের এক যুবক বলেন, এখানে সরকারি গুরুত্ব পূর্ণ একাধিক অফিস রয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটলে যা দিয়ে আগুন নেভানোর কথা সেই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রগুলি মেয়াদ উত্তীর্ন। সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের এমন দায় ছাড়া ভাব কোন ভাবে কাম্য নয়।
দক্ষিণ সুরমার ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান তনয় বিশ্বাস জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠান বা অফিসে মূলত চার রকমের সিলিন্ডারে অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা থাকে। একটি হল, ফোম। এগুলি ব্যবহারের সময়সীমা থাকে এক বছর। তার পরে পুরনো ফোম বের করে দিয়ে নতুন ফোম ভর্তি করতে হয়। দ্বিতীয়টি হল, এবিসি। এটি এক রকমের পাউডার। যা তিন বছর অন্তর অন্তর বদলে নতুন পাউডার ভরে ফেলতে হয়। তৃতীয়টি হল ডিসিপি। এটি অনেকটা এবিসির মতোই। এই যন্ত্রেও পাউডার থাকে। বদলাতে হয় তিন বছর অন্তর। আর চতুর্থ ব্যবস্থাটি হল, কার্বন-ডাই-অক্সাইড বা সিওটু। এগুলিতে পাঁচ বছর অন্তরগ্যাস পাল্টাতে হয়। যদি এগুলি নিয়মমাফিক না পাল্টানো হয়, তা হলে আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে তা কাজ না করাই কথা বলে জানান তিনি।
লেখক : মনছুর আলী মাছুম, সদস্য – সিলেট জেলা প্রেসক্লাব
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি