সিলেট ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রজব, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২১
অতিথি প্রতিবেদক, গোলাপগঞ্জ
বলছিলাম গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়ন ও গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন এর প্রায় ২০ একর জমি নিয়ে অবস্থিত এরাল বিলের কথা। এ বিলে প্রতি বছর শীত মৌসুমে লাল ও সাদা রঙের হাজার হাজার শাপলা ফুল ফোটে। এরাল বিলের এই অপূর্ব মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসতে থাকেন।
পর্যটকরা বলেন, শিশির ভেজা ভোরে মিষ্টি রোদের আলতো ছোঁয়ায় ফোটে থাকা শাপলাগুলো বেলা বাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। তবে, ফুলগুলোর দিকে অপলক তাকালে মনে হয় সেগুলো আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। লাল শাপলাকে নিজের সঙ্গী করে ফ্রেমবন্দি করতে দুপুর বেলায় নৌকা নিয়ে বিলের পানিতে ঘুরে ঘুরে হাজারো শাপলা ফুলের মাঝে ছবি তুলেছি, খুব ভালো একটা ভিউ আসছে ছবিতে। প্রাকৃতিক লীলাভ‚মির এই সৌন্দর্য্যে হারিয়ে যেতে বার বার ইচ্ছে করে।
স্থানীয়রা জানান, ছোট বড় সব বয়েসের নারী, পুরুষ, ও শিশু আসেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে। দেশের এই মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবছর অনেকটাই কম আসছেন পর্যটকরা। কিন্তু তার পরেও প্রতিনিয়ত আসেন প্রকৃতি প্রেমিক পর্যটকরা। কেউ কেউ বাড়ি যাওয়ার সময় শাপলা তুলে সঙে নিয়েও যাচ্ছেন। শাপলা ফুল ফুটে থাকা সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে হলে সূর্যের আলো প্রখর হওয়ার আগে আগেই আসা ভালো বলে তারা মনে করেন।
শাপলার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা সায়েক আহমদ জানান, শাপলা দেখতে আর মেঘালয় জৈন্তিয়া রাজ্যের ডিবির হাওয়রে যাওয়া লাগবে না। গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের এরাল বিলে আসলেই শাপলার সেই দৃষ্টি নন্দিত সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যাবে। উপজেলা প্রশাসন যদি এই হাওরটির দিকে নজর রাখে তাহলে আগামী দিনে হাওরটি বড় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।
শাপলা বিল দেখতে আসা রুহিন ও সাদিক বলেন, আমরা ডিবির হাওর পর্যটন করেছি, গোলাপগঞ্জেও যে এরকম ডিবির হাওর আছে আমরা আগে কখনো কল্পনাও করিনি। আমরা মনে করি ধীরে ধীরে মেঘালয় রাজ্যের জৈন্তিয়া ডিবির হাওর এর মতো আরও সুন্দর হয়ে উঠবে এরাল বিল।
এরাল বিলের লাল শপলার রাজ্যে চাইলে যে কেউ আসতে পারবেন। যোগাযোগ ব্যবস্থাও যথেষ্ট ভালো। স্থানীয়দের জন্য বা জেলা ও উপজেলাবাসীর জন্য এই স্থানটি খুব একটা অচেনা বা দূরের নয়। তবে, দূরপাল্লার পর্যটকরাও খুব সহজে সেখানে পৌছাতে পারেন। এর জন্যে প্রথমে উনাকে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে নামতে হবে। তার সেখান থেকে জকিগঞ্জ বা বিয়ানীবাজারগামী একটি বাসে চড়ে নয়তো কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা চড়ে গোলাপগঞ্জ পয়েন্টে এসে থামতে হবে। তারপর সেখান থেকে ঢাকাদক্ষিণ রোডে প্রবেশ করে আমনিয়া-আমুড়ার দিকে এগুলে এরাল বিলের লাল শাপলার দেখা পাওয়া যাবে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রধান সম্পাদক : মোঃ উস্তার আলী,
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
বার্তা সম্পাদক : আব্দুল খালিক।
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ৩/১৭, সুরমা মার্কেট (২য় তলা), সিলেট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
০১৭২২-৯৪০২১৬ (বার্তা সম্পাদক)।
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি