সিলেট ২০শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২০
সোনালী সিলেট ডেস্ক
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ মারা যাওয়া রায়হান আহমদের মৃত্যু কোনো বিষক্রিয়ার কারণে হয়নি, বরং অতিরিক্ত আঘাতের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এমনটি উল্লেখ রয়েছে ভিসেরা রিপোর্টে।
রিপোর্টের তথ্যটি নিশ্চিত করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রায়হানের প্রথম ময়না তদন্তের ভিসেরা রিপোর্ট ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে আমাদের কাছে এসেছে। এতে বিষক্রিয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই কর্মকর্তাদের কাছে এই রিপোর্ট হস্তান্তর হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর সকালে মারা যান নগরের আখালিয়া বাসিন্দা রায়হান আহমদ (৩৪)। আগের রাতে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তামান্না আক্তার।
১১ অক্টোবর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রায়হানের প্রথম ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়না তদন্ত শেষে রায়হানের শরীরে শতাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। ভিসেরা রিপোর্টেও তার সত্যতা পাওয়া গেলো।
তবে হেফাজতে মৃত্যু আইন অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশনা থাকলেও প্রথমদফায় তা মানা হয়নি। পরে ১৫ অক্টোবর কবর থেকে লাশ উত্তলন করে ২য় দফায় আবারও রায়হানের ময়না তদন্ত করা হয়।
হত্যার অভিযোগে স্ত্রীর মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। এই ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁঞাসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান বন্দরবাজার থানার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা আকবর হোসেন ভূইয়া।
গত ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে আকবর হোসেন ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতে পালানোর সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ দাবি করে। এরপর আকবরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও আকবর জবানবন্দি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আকবরকে পালাতে সহযোগিতার অপরাধে এর আগে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্থ করে মহানগর পুলিশ।
এ ঘটনায় আকবরের আগে আরও তিন পুলিশ সদস্য এএসআই আশেক এলাহি, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস এবং হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড নেয় পিবিআই। তবে রিমান্ড শেষে তারাও আদালতে স্বীকারোক্তিমলক জবানবন্দি দেননি।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রধান সম্পাদক : মোঃ উস্তার আলী,
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
বার্তা সম্পাদক : আব্দুল খালিক।
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ৩/১৭, সুরমা মার্কেট (২য় তলা), সিলেট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
০১৭২২-৯৪০২১৬ (বার্তা সম্পাদক)।
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি