ব্যক্তিগত সহকারীসহ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত: ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮

সোনালী সিলেট ডেস্ক ::: নোয়াখালী সোনাইমুড়ী বাজারে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে ৪/৫টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।

এ ঘটনার পর গুলিবিদ্ধ খোকন, তার ব্যক্তিগত সহকারী রুবেল ও দলীয় কর্মী সোহেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের চিকিৎসক ফজলে রাব্বানী জানান, মাহবুব উদ্দিন খোকনের পিঠে ৬টি ছররা গুলি লেগেছে। সোহেলের ঘাড়ে লেগেছে দুইটি এবং রুবেলের পায়ে লেগেছে একটি। আরও গুলি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য এক্স-রে করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ মাহবুব উদ্দিনর খোকন জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করে বিকেল তিনটায় তিনি কলেজ মাঠে থেকে নির্বাচনী গণসংযোগ করার সকল প্রস্ততি নেন। এবং যথারীতি তিনি দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাজারে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। এসময় পুরো বাজারে কয়েকদফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

তিনি অভিযোগ করে জানান, পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালায়। এতে তিনি নিজে পিটে গুলিবিদ্ধ হন। তাছাড়া তার আরও অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হন। তিনি এ জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেন।

এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবু জানান, ব্যারিস্টার খোকন নিজে কয়েকটি ট্রাক যোগে মানুষ এনে সোনাইমুড়ীতে হামলা করেন। এ সময় তার লোকজন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এই্চ এম ইব্রাহিমের তিনটি নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। তিনি নিজে উস্কানি দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

এ ঘটনায় সোনাইমুড়ি থানা পুলিশের ওসি আবদুল মজিদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম