আশ্বস্ত করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
গোলাপগঞ্জে সরকারি রাস্তায় অবৈধভাবে গেইট নির্মাণ নিয়ে উপজেলা পরিষদে এলাকাবাসীর ক্ষোভ

প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২০

<span style='color:#C90D0D;font-size:19px;'>আশ্বস্ত করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান</span> <br/> গোলাপগঞ্জে সরকারি রাস্তায় অবৈধভাবে গেইট নির্মাণ নিয়ে উপজেলা পরিষদে এলাকাবাসীর ক্ষোভ

গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ক্ষুব্ধ পূর্ব খর্দ্দাপাড়া এলাকাবাসী


মো. রুবেল আহমদ
গোলাপগঞ্জে একটি সরকারি রাস্তায় ব্যক্তি উদ্যোগে গেইট নির্মাণ ও নাম ফলক স্থাপন নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিকে বেআইনী উল্লেখ করে শীঘ্রই তা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার লোকজন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর দেয়া আশ্বাসের ভিত্তিতে ফিরে যান তারা।

 

জানা যায়, গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ইউপির প‚র্ব খর্দ্দাপাড়া এলাকায় রাতের আধারে সরকারি রাস্তায় গেইট নির্মাণ করে সেখানে ‘খাঁন রোড’ লেখা সম্বলিত নাম ফলক স্থাপন করে একটি পক্ষ। দিবালোকে বিষয়টি দৃশ্যত হলে এলাকাজুড়ে শুর হয় কানাঘুষা। ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সচেতন মহলে। গেইটটি দ্রæত অপসারণের দাবি জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু গেইট নির্মাণ ও নাম ফলক স্থাপনকে বৈধ বলে দাবি করে নির্মাতারা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমানকে একাধিকবার অবগত করলেও কোনও সুষ্ঠু সুরাহা পাননি বলে দাবী এলাকাবাসীর।

 

ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জানান, যেই রাস্তায় গেইট নির্মাণ করে ‘খান রোড’ লাগানো হয়েছে সেটি মূলত সরকারি রাস্তা। এখানে অবৈধভাবে কোন ব্যক্তির নামে ফলক স্থাপন হতে পারে না। আইনীভাবে প্রতিকার পেতে স্থানীয়দের গণস্বাক্ষরসহ ঢাকাদক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রহিম, লক্ষণাবন্দ ইউপির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রাজু আহমদ, ইউপি সদস্য মো. শাহাব উদ্দিনের স্বাক্ষরসহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কাশেম বরাবরে ২৩জুন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও অভিযোগটি ফলপ্রসূ হয়নি। যার প্রেক্ষিতেই সোমবার উপজেলা পরিষদে ক্ষোভ ঝাড়েন এলাকাবাসী। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর দেয়া আশ্বাসের ভিত্তিতে ফিরে যান এলাকার লোকজন।

 

এ ব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, যে কাজ বেআইনী তা সব সময়ই বেআইনী। আমি এলাকাবাসীর অভিযোগ শুনে নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি তিনি যেনো এ বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ নেন। নির্বাহী কর্মকর্তা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই অবৈধভাবে গড়ে তুলা এই নামফলক সম্বলিত গেইটটি আইনী প্রক্রিয়ায় ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করবেন বলেও এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য এলাকাবাসী তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মজির উদ্দিন চাকলাদারের সুপারিশক্রমে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বরাবরে একটি আবেদন করেন। আবেদনটির রিসিভ কপিতে রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ’র স্বাক্ষর। পরে ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২১০ মিটারের এ রাস্তাটির আইডিসহ (আইডি নং- ৬৯১৩৮ ও ঢাকা৫২৫০) স্কীম প্রকাশ করা হয়। সরকারি তথ্যনুযায়ী রাস্তাটির নাম প‚র্ব খর্দ্দাপাড়া (সাত বিছরা ন‚রানী মসজিদ) কুমার পাতন সালামগা রোড। কিন্তু একটি পক্ষ নিজেদের আভিজাত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এখন সেখানে গেইট নির্মাণ করে ‘খান রোড’ নাম ফলক লাগিয়েছে। এটা নিতান্তই বেআইনী বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম