সিলেট ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২০
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা
গোলাপগঞ্জে একটি সরকারি রাস্তায় ব্যক্তি উদ্যোগে গেইট নির্মাণ ও নাম ফলক স্থাপন নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিকে বেআইনী উল্লেখ করে শীঘ্রই তা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ইউপির প‚র্ব খর্দ্দাপাড়া এলাকায় রাতের আধারে সরকারি রাস্তায় গেইট নির্মাণ করে সেখানে ‘খাঁন রোড’ লেখা সম্বলিত নাম ফলক স্থাপন করে একটি পক্ষ। দিবালোকে বিষয়টি দৃশ্যত হলে এলাকাজুড়ে শুরু হয় কানাঘুষা। ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সচেতন মহলে। গেইটটি দ্রæত অপসারণের দাবি জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু গেইট নির্মাণ ও নাম ফলক স্থাপনকে বৈধ বলে দাবি করে নির্মাতারা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
ক্ষুব্দ এলাকাবাসী জানান, যেই রাস্তায় গেইট নির্মাণ করে ‘খান রোড’ লাগানো হয়েছে সেটি মূলত সরকারি রাস্তা। এখানে কোন ব্যক্তি নামে ফলক লাগতে পারে না। গত ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য এলাকাবাসী তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মজির উদ্দিন চাকলাদারের সুপারিশক্রমে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বরাবরে একটি আবেদন করেন। আবেদনটির রিসিভ কপিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ’র স্বাক্ষর। পরে ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২১০ মিটারের এ রাস্তাটির আইডিসহ (আইডি নং- ৬৯১৩৮) স্কীম প্রকাশ করা হয়। সরকারি তথ্যনুযায়ী রাস্তাটির নাম প‚র্ব খর্দ্দাপাড়া (সাত বিছরা ন‚রানী মসজিদ) কুমার পাতন সালামগা রোড। কিন্তু একটি পক্ষ নিজেদের আভিজাত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এখন সেখানে গেইট নির্মাণ করে ‘খান রোড’ নাম ফলক লাগিয়েছে। এটা নিতান্তই বেআইনী।
আইনীভাবে প্রতিকার পেতে স্থানীয়দের গণস্বাক্ষরসহ ঢাকাদক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রহিম, লক্ষণাবন্দ ইউপির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রাজু আহমদ, ইউপি সদস্য মো. শাহাব উদ্দিনের স্বাক্ষরসহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কাশেম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। তারা দ্রæত সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি ও প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।
এব্যাপারে জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নাঈমুর রহমান নাঈম
উপদেষ্টা : উস্তার আলী
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও প্রধান কার্যালয় : সামসুদ্দিন মার্কেট,(২য় তলা) পুরাতন পুলের মুখ ভার্থখলা,দক্ষিণ সুরমা সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০২৯৯৬৬৩২৩০১
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি