সিলেট ২৮শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ১৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২০
নবীগঞ্জ সংবাদদাতা
নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসার বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল ও মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগের তদন্তে নামে উপজেলা প্রশাসন। ২০ এপ্রিল তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল।
জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল কুর্শি ইউনিয়নের সমরগাঁও গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. শরিয়ত আলী নামে এক ব্যক্তি মার্চ মাসের ভিজিডির চাল ও মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পরদিনই ২০ এপ্রিল তড়িঘড়ি করে ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসা ভিজিডির চাল বিতরণ করেন।
এদিকে, নবীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামের তথ্য অনুযায়ী মার্চ মাসের ভিজিডির চাল মার্চ মাসেই উত্তোলন করা হয় এবং এপ্রিল মাসের চাল এপ্রিল মাসে উত্তোলন করা হয় বলে জানানো হয়। তবে মার্চ মাসের চাল গেল কোথায় প্রশ্ন তুলেন ১৭৫ জন কার্ডধারী মহিলা।
মার্চ মাসের চাল কোথায় জানতে চাইলে আলী আহমেদ মুসা বলেন, চালগুলো আমার অধীনে আছে। মার্চ মাসের চালের খুঁজে ইউনিয়ন অফিসে গেলে কোথাও চালগুলো দেখা যায়নি। কিছু কিছু মহিলার কার্ডে এপ্রিল ও মে মাসের চাল উত্তোলণের আগাম স্বাক্ষরও পাওয়া গেছে।
সরেজমিন নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ১৭৫ জন কার্ডধারী ভিজিডির চাল ও সঞ্চয়কারী মহিলাদের কাছে জানতে চাইলে তারা অভিযোগ করেন, মার্চ মাসের চাল না পেয়ে তারা হতাশায়। এই চাল গেল কোথায় প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। মার্চ মাসের চালের বিষয় জানেন না উক্ত ইউনিয়নের স্থানীয় অনেক ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগীরা জানান, ১৭৫ জন কার্ডধারীর মধ্যে অনেকে রয়েছেন এক কার্ডের চালের পরিমাণ দুটি পরিবার করে নিতে হচ্ছে। এতে করে খাদ্য সমস্যায় পড়তে হয় অনেকের ক্ষেত্রে। তবে এবিষয়টি সবার বেলা প্রযোজ্য নয় বলে ও দাবি করেন তারা। অনিয়ম হচ্ছে দাবি করে তারা আরো বলেন মার্চ মাসের চালের কোনো হদিস নেই।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, গত নয় মাসে মহিলাদের সঞ্চয় কৃত টাকা ব্যাংকে জমা ছিল না। টাকা গুলো ইউপি চেয়ারম্যান তার নিজের কাছে রেখে দেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান নবীগঞ্জ থেকে অনেক দূরে অবস্থান থাকায় অন্য আরেকদিন বক্তব্য দেবেন তিনি।
নবীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অলক বৈষ্ণ জানান, গত মার্চ মাসের চাল ইউপি চেয়ারম্যান মার্চ মাসেই নিয়েছেন।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, ভিজিডির চাল নিয়ে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে আমরা এবিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। উনার সাথে আমার কথা হয়েছে উনি বলছেন যে মার্চ মাসের চাল সোমবার ২০ এপ্রিল বিতরণ করেছেন এবং এপ্রিল মাসের চাল উনি ২২ এপ্রিল বিতরণ করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। তবে সে এখানে ভিজিডির চাল বিতরণ করুক বা না করুক সে একটি অনিয়ম করেছে আমরা দেখেছি এই অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার বরাবর লিখব সরকার তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুনপ্রধান সম্পাদক : মোঃ উস্তার আলী,
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ তাজুল ইসলাম,
বার্তা সম্পাদক : আব্দুল খালিক।
সম্পাদক কর্তৃক বার্তা অফসেট প্রেস, লিয়াকত ভবন, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ৩/১৭, সুরমা মার্কেট (২য় তলা), সিলেট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল : ০১৭১১-৩৯৯৬৬৬, ০১৭৩৩-৫৭৫৯২০ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
০১৭২২-৯৪০২১৬ (বার্তা সম্পাদক)।
ই-মেইল : sonalysylhet2016@gmail.com
Web : www.sonalysylhet.net
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি